Ads

RAIN EYE CARE

WE HAVE 5 BRUNCH FOR GIVING SERVICE IN EYE CARE SECTOR ALSO PROVIDE SUNGLASSES

RAIN HEALTH CARE

WE SERVE IN HEALTH CARE SECTOR AND DISCUSS ABOUT HEALTH DISEASES

RAIN STUDY CENTRE

IN THIS SECTOR WE EDUCATE PEOPLE ABOUT EYE HEALTH LIFESTYLE

RAIN SOCIAL SERVICE

IN THIS SECTOR WE HELP NEEDY PEOPLE THROUGH LIONS INTERNATIONAL NGO

RAIN MEDICINE REVIEW

REVIEW ABOUT ALL ALLOPATHIC MEDICINE. EYE DROPS.

SEARCH

Showing posts with label OCULAR DISEASE. Show all posts
Showing posts with label OCULAR DISEASE. Show all posts

Sunday, 6 April 2025

রেটিনাল ভাস্কুলার রোগসমূহ



রেটিনাল ভাস্কুলার রোগসমূহ (Retinal Vascular Disorders) হলো চোখের রেটিনার রক্তনালীগুলোর বিভিন্ন সমস্যা, যা দৃষ্টিশক্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই রোগগুলোর মধ্যে কয়েকটি সাধারণ রোগ হলো:

১. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (Diabetic Retinopathy)

ডায়াবেটিসজনিত কারণে রেটিনার ছোট রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্তক্ষরণ ও প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে।

২. রেটিনাল ভেইন অক্লুশন (Retinal Vein Occlusion - RVO)

রেটিনার শিরা (vein) ব্লক হয়ে গেলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়, ফলে রেটিনায় রক্তক্ষরণ ও ফোলাভাব দেখা দেয়।

৩. রেটিনাল আর্টারি অক্লুশন (Retinal Artery Occlusion - RAO)

রেটিনার ধমনী (artery) বন্ধ হয়ে গেলে রেটিনার কোষে অক্সিজেনের অভাব ঘটে, যা স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।

৪. হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি (Hypertensive Retinopathy)

উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে রেটিনার রক্তনালীতে ক্ষতি হয়, যা রক্তক্ষরণ এবং রেটিনার কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।

৫. সেন্ট্রাল সেরাস রেটিনোপ্যাথি (Central Serous Retinopathy - CSR)

স্ট্রেস বা কর্টিসোল হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে রেটিনার নিচে তরল জমে যেতে পারে, যা দৃষ্টির সমস্যা তৈরি করে।

রেটিনাল ভাস্কুলার ডিসঅর্ডারের (Retinal Vascular Disorder) কারণসমূহ:


রেটিনার রক্তনালীগুলোর স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হলে রেটিনাল ভাস্কুলার ডিজঅর্ডার হতে পারে। নিচে কয়েকটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

১. ডায়াবেটিস (Diabetes Mellitus)

দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা থাকলে রেটিনার ছোট রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কারণ হতে পারে, যা রক্তক্ষরণ, রক্তনালীর বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক নতুন রক্তনালী গঠনের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করতে পারে।


২. উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)

উচ্চ রক্তচাপ রেটিনার রক্তনালীগুলোর ক্ষতি করে এবং হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি সৃষ্টি করতে পারে।

এতে রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায় বা ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।


৩. রক্তনালীর ব্লকেজ (Vascular Occlusion)

রেটিনাল ভেইন অক্লুশন (Retinal Vein Occlusion - RVO): রক্তপ্রবাহের বাধা সৃষ্টি হলে রেটিনায় রক্ত জমতে পারে।

রেটিনাল আর্টারি অক্লুশন (Retinal Artery Occlusion - RAO): রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রেটিনার ধমনী ব্লক হয়ে যায়, যা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে অন্ধত্ব সৃষ্টি করতে পারে।


৪. উচ্চ কোলেস্টেরল (High Cholesterol & Atherosclerosis)

অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্তনালীর অভ্যন্তরে জমে গিয়ে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা রেটিনাল আর্টারি ব্লকেজ ঘটাতে পারে।


৫. ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন

ধূমপান রক্তনালী সংকুচিত করে এবং রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা রেটিনার রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে।


৬. চোখে আঘাত (Ocular Trauma)

চোখে আঘাত বা আঘাতজনিত কারণে রক্তনালী ফেটে যেতে পারে, যা রক্তক্ষরণ এবং রেটিনার কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।


৭. কিছু নির্দিষ্ট রোগ (Certain Medical Conditions)

Autoimmune Disease (লুপাস, ভাসকুলাইটিস): রক্তনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে।

ব্লাড ডিজঅর্ডার (Leukemia, Sickle Cell Disease): রক্তনালীর ক্ষতি করে রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে।


৮. মানসিক চাপ ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে সেন্ট্রাল সেরাস রেটিনোপ্যাথি (CSR) হতে পারে, যেখানে রেটিনার নিচে তরল জমে যায়।


প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:

👉নিয়মিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।

👉সুষম খাদ্যগ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করা।

👉ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা।

👉চোখের নিয়মিত পরীক্ষা করা, বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।

👉লেজার থেরাপি, ইনজেকশন বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে।


THANK YOU FOR READING. PLEASE LIKE SHARE & FOLLOW OUR PAGE.

Tuesday, 18 March 2025

Vitreous Detachment

ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট (Vitreous Detachment) কী?



ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট হলো চোখের ভেতরে থাকা জেলির মতো স্বচ্ছ পদার্থ ভিট্রিয়াস হিউমার রেটিনা থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া। এটি সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সাথে ঘটে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি রেটিনার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্টের কারণ:


১. বয়স বৃদ্ধি: বয়সের সাথে সাথে ভিট্রিয়াস জেলি সঙ্কুচিত হয়ে তরল হয়ে যায়।
২. মায়োপিয়া (Myopia): উচ্চ মাত্রার চোখের সমস্যা থাকলে ঝুঁকি বেশি।
3. আঘাত: চোখে আঘাত লাগলে ভিট্রিয়াস আলাদা হয়ে যেতে পারে।
৪. চোখের অস্ত্রোপচার: যেমন ছানির অপারেশনের পর।
৫. ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ: চোখের ভিতরের প্রদাহও এই সমস্যা ঘটাতে পারে।

লক্ষণ:


১. ফ্লোটার (Floaters): চোখের সামনে কালো বিন্দু, দাগ বা মাকড়সার জালের মতো ছায়া দেখা।
২. ফ্ল্যাশ (Flashes): আলোর ঝলকানি বা বিদ্যুৎ চমকের মতো অনুভূতি।
৩. দৃষ্টি ঝাপসা: বিশেষ করে ডিটাচমেন্টের পরিমাণ বেশি হলে।
৪. রেটিনাল টিয়ার বা ডিটাচমেন্ট: কখনও কখনও রেটিনায় ছিঁড়ে যাওয়া বা আলাদা হয়ে যাওয়া ঘটে।

জটিলতা:-

যদি ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্টের সাথে রেটিনায় টান পড়ে বা ছিঁড়ে যায়, তবে রেটিনাল ডিটাচমেন্ট ঘটতে পারে, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য বিপজ্জনক।


চিকিৎসা:


১. পর্যবেক্ষণ: সাধারণত ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট নিজে থেকে নিরাময় হয় এবং কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
২. লেজার চিকিৎসা বা ক্রায়োপেক্সি: রেটিনাল টিয়ার থাকলে লেজার বা ঠান্ডা দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
৩. ভিট্রেকটমি: যদি রক্তপাত বা জটিলতা থাকে, তবে অস্ত্রোপচার করা হয়।


করণীয়:

চোখে হঠাৎ ঝাপসা দৃষ্টি বা আলোর ঝলকানি অনুভব করলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বয়স ৫০-এর উপরে হলে।

ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট (Vitreous Detachment) সাধারণত একটি স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত প্রক্রিয়া, যা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ঘটে। এটি পুরোপুরি নিরাময় করা ঘরোয়া উপায়ে সম্ভব নয়, তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও সতর্কতা মেনে চললে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে এবং জটিলতার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।


🌿 ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্টের জন্য ঘরোয়া উপায়:


🥕 ১. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন:


ভিটামিন এ: গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, ডিম।

ভিটামিন সি: লেবু, কমলা, পেয়ারা, আমলকি।

ভিটামিন ই: বাদাম, সূর্যমুখী বীজ।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: সামুদ্রিক মাছ (সালমন, টুনা), আখরোট।

জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম: ডাল, বাদাম, ডিম।

এই সব পুষ্টি চোখের রেটিনা ও ভিট্রিয়াসকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।


💧 ২. পর্যাপ্ত জল পান করুন:


প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন।

শরীরে পানির অভাব হলে ভিট্রিয়াস তরল জমাট বাঁধতে পারে।



🥦 ৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার:


বেরি ফল (যেমন ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি), সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি।

এগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং চোখের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে।


👁️ ৪. চোখের ব্যায়াম করুন:


চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে ডানে-বামে, ওপরে-নিচে ঘুরান।

হাতের তালু ঘষে গরম করে চোখের ওপর রাখুন (পামিং)।

এই ব্যায়ামগুলো রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চোখের পেশিকে আরাম দেয়।


🚫 ৫. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন:


ধূমপান চোখের রক্তনালীতে ক্ষতি করে এবং ভিট্রিয়াসের গঠনে প্রভাব ফেলে।

অ্যালকোহল দেহের পানিশূন্যতা বাড়ায়, যা ভিট্রিয়াসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।


😴 ৬. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন:


প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দিন।

চোখের উপর চাপ কমাতে ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


🧘 ৭. মানসিক চাপ কমান:


অতিরিক্ত মানসিক চাপ চোখের উপরও প্রভাব ফেলে।

যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন।


📝 করণীয় সতর্কতা:


হঠাৎ চোখে ফ্লোটার (কালো দাগ) বা আলোর ঝলকানি দেখলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

যদি দৃষ্টি ঝাপসা হয় বা হঠাৎ করে দৃষ্টি হারান, তবে অবিলম্বে চিকিৎসা নিন।




💡 বিশেষ পরামর্শ:


ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট একটি প্রাকৃতিক এবং বার্ধক্যজনিত প্রক্রিয়া। ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে তবে পুরোপুরি নিরাময় করতে পারে না। চিকিৎসকের পরামর্শ এবং নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি।

আমাদের RAIN EYE CARE এ অনলাইন CONSULTATION পেতে WHATSAPP KORUN 9093787471 AI NUMBER E বা এই লিঙ্কে যান 
https://whatsapp.com/channel/0029Vb5VTPCAjPXIU7wfGc47



THANK YOU FOR READING. PLEASE LIKE SHARE & FOLLOW OUR PAGE.

Friday, 14 March 2025

চোখ দিয়ে জল পড়া



চোখ দিয়ে জল পড়া (অশ্রুপাত) স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে অতিরিক্ত জল পড়া কোনো সমস্যার ইঙ্গিত। 
নিচে চোখ দিয়ে জল পড়ার ২১টি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হলো—

১. চোখে ধুলাবালি বা বিদেশি বস্তু(Foreign body):--

ধুলাবালি, ধোঁয়া, বা ছোট কোনো কণা, পোকা ইত্যাদি চোখে ঢুকলে চোখ তা বের করতে অশ্রু উৎপন্ন করে।
✅ পরিষ্কার জলের ঝাপটা দিন। 

২. শুষ্ক চোখ (Dry Eye Syndrome):--

চোখের আর্দ্রতা কমে গেলে, চোখ নিজেই অতিরিক্ত জল উৎপন্ন করে এটি পূরণ করতে পারে।
✅ চোখের ড্রপ ব্যবহার। 


৩. অ্যালার্জি:- 

ধূলাবালি, ফুলের রেণু, ধোঁয়া বা পশুর লোমের সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জির কারণে চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে।
✅ অ্যালার্জির ঔষধ ও চশমা ব্যবহার করুন। 


৪. চোখের সংক্রমণ (Conjunctivitis):-

ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত চোখের সংক্রমণ (লাল চোখ) হলে অতিরিক্ত জল পড়তে পারে।
✅ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

৫. ঠান্ডা বা ফ্লু:-  

সর্দি-কাশি বা ফ্লু হলে নাক ও চোখ একসাথে সংক্রমিত হতে পারে, ফলে চোখ দিয়ে জল পড়ে। 
✅ ঠাণ্ডার ওষুধ ব্যবহার করুন। 

৬. চোখের ক্লান্তি (Eye Strain):- 

দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে বা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে।
✅screen time কমাতে হবে। 

৭. চোখের আঘাত:- 

চোখে সামান্য আঁচড় বা আঘাত লাগলে তা নিজেকে সুরক্ষিত করতে অশ্রু তৈরি করে।
✅ চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন। 

৮. ব্লকড টিয়ার ডাক্ট (Blocked Tear Duct):-
যদি চোখের অশ্রু নালি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে জল বের হতে না পারায় তা চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে।
✅ চোখের ডাক্তার দেখান। 

৯. হরমোন পরিবর্তন:-
গর্ভাবস্থা বা বয়ঃসন্ধিকালে হরমোন পরিবর্তনের কারণে চোখ বেশি সংবেদনশীল হয়ে জল পড়তে পারে।


১০. ভিটামিনের অভাব:-
ভিটামিন A বা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হলে চোখ শুষ্ক হয়ে অতিরিক্ত জল উৎপন্ন করতে পারে।
✅ ভিটামিন যুক্ত খাদ্য খাবার গ্রহণ করুন। 

১১. বাতাস বা ধোঁয়ার সংস্পর্শ:-
তীব্র বাতাস, ধোঁয়া বা এয়ার কন্ডিশনের ঠান্ডা বাতাসে চোখ সংবেদনশীল হয়ে জল পড়তে পারে।
✅ পরিষ্কার পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। 

১২. চোখের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া (Chemical Irritants):-
চোখে সাবান, শ্যাম্পু, প্রসাধনী, বা রাসায়নিক লাগলে চোখ নিজেকে পরিষ্কার করতে জল উৎপন্ন করে।
✅ অ্যালার্জিক সাবস্ট্যান্স যাতে চোখে না যায় তার খেয়াল রাখুন। 

১৩. বয়সজনিত কারণ:-
বয়স বাড়ার সাথে সাথে অশ্রুগ্রন্থি দুর্বল হয়ে অতিরিক্ত জল উৎপন্ন করতে পারে।
✅ নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করান। 

১৪. মানসিক চাপ ও আবেগ:-
খুশি, দুঃখ, বা টেনশনের সময় চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে, যা একধরনের আবেগগত প্রতিক্রিয়া।
✅ মেডিটেশন করুন।

১৫. কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:-
কিছু ওষুধ যেমন—অ্যালার্জি, উচ্চ রক্তচাপ, বা ডিপ্রেশনের ওষুধের কারণে চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে।
✅ Side effects দেখা দিলে ওই সকল ঔষধ এড়িয়ে চলুন। 

১৬. ব্লেফারাইটিস (পলকের প্রদাহ):-
পলকের প্রদাহ হলে চোখে চুলকানি, জ্বালা এবং অতিরিক্ত জল পড়তে পারে।
✅ চোখ পরিষ্কার রাখুন, গরম পানি দিয়ে সেঁক দিন।

১৭. চোখের পর্দা বা কর্নিয়ার সমস্যা:-
চোখে ছোট খোঁচা বা সংক্রমণ হলে চোখে জ্বালা ও জল পড়তে পারে।
✅ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১৮.চোখের পলক সমস্যায় (এন্ট্রোপিয়ন বা এক্ট্রোপিয়ন):-
যদি চোখের পলক ভুল দিকে বাঁকানো থাকে, তবে এটি চোখের জল বের হওয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
✅ সার্জারি বা ওষুধের পরামর্শ নিন।

১৯.বেশি স্ক্রিন দেখা:-
ল্যাপটপ বা মোবাইল স্ক্রিন বেশি দেখলে চোখ ক্লান্ত হয়ে অতিরিক্ত জল তৈরি করতে পারে।
✅ ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলুন (প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকান)।


২০. চোখের লেন্সের সমস্যা:-
ভুলভাবে কন্টাক্ট লেন্স পরলে চোখে জ্বালা ও জল পড়তে পারে।
✅ সঠিকভাবে লেন্স পরুন ও পরিষ্কার রাখুন।



২১. গ্লুকোমা:-
চোখের ভেতরের চাপ বেশি হলে চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে।
✅ চোখের ডাক্তার দেখান ও চেকআপ করান।


THANK YOU FOR READING. PLEASE LIKE SHARE & FOLLOW OUR PAGE.

Saturday, 1 May 2021

চোখে চুলকানি কি?

 চোখে চুলকানি কি?


চোখ চুলকানি (ওকিউলার প্রুরিটাস), একটি খুব সাধারণ সমস্যা, এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি ট্রিগার বা এলার্জেনের প্রতিক্রিয়ার কারণে শরীর হিস্টামিন নামক এক কেমিকাল উন্মোচন করে। এর ফলে চোখের রক্তবাহী নালী প্রসারিত হয় এবং তার কারণে চোখ চুলকায় ও জ্বলে, চোখ জলে ভরে যায় আবার কখনও লাল হয়ে যায়।


📒 চোখে চুলকানির প্রধান সংযুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?


🔲 চোখে চুলকানির সাথে যেসব লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি দেখা যায় তা হলোঃ


➢ চোখের পৃষ্ঠে এবং পৃষ্ঠতলের ঝিল্লিতে প্রদাহ।


➢ সর্দি।


➢ গলা ধরে যাওয়া।


➢ হাঁচি।


➢ চোখের পাতা ফুলে যাওয়া।


➢ চোখ জলে ভরে যাওয়া।


➢ চোখ জ্বালা করা।


➢ চোখ লাল হওয়া।


📒 এর প্রধান কারণগুলি কি?


🔲 চোখে চুলকানি সাধারণত নিম্নলিখিত যেকোনো একটি কারণের জন্য হয়ঃ


➢ অ্যালার্জি (ধুলোর জীবাণু, মোল্ড (এক ধরণের ছত্রাক), চোখের ড্রপ বা পশুর পশম)।


➢ আপনার চোখের চারপাশে ডার্মাটাইটিস।


➢ ড্রাই আই সিনড্রোম - যখন আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণ অশ্রু উৎপাদন করতে পারে না, যা চোখের পৃষ্ঠতলকে আর্দ্র এবং আরামদায়ক রাখতে সাহায্য করে।


➢ কেমিকাল বা বাহির থেকে কোন পদার্থ চোখের ভেতর প্রবেশ করে (মেকআপ বা পুলের ভিতরে থাকা ক্লোরিন)।


➢ ব্লেফারাইটিস - একটি সংক্রমণ যার কারণে চোখের পাতাতে প্রদাহ হয়ে যায়।


➢ কন্ট্যাক্ট লেন্সের কারণে সংক্রমণ।


➢ কোনো এক ড্রাগের প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার কারণে (অ্যান্টিহাইস্টামাইনিকস, পেনকিলার, এন্টিডিপ্রেসেন্টস, বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ)।


🔲 চোখ চুলকানির চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত হল চিহ্নিত কারণগুলির চিকিৎসা, যেগুলির মধ্যে রয়েছেঃ


📒 যদি বাহির থেকে কোন পদার্থ চোখের ভেতর প্রবেশ করে থাকে সেই ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি করা যেতে পারেঃ


✔️ স্যালাইন বা উষ্ণ গরম জলে দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা।


✔️ বন্ধ চোখে আইস প্যাক, পরিষ্কার, ঠাণ্ডা, স্যাঁতস্যাঁতে কাপড়ে চোখের ওপর রাখা।


✔️ ঠান্ডা জল ব্যবহার করে চোখ ধোয়া।


✔️ চোখ রগড়ানো এড়িয়ে চলা এবং যদি 24 ঘণ্টার মধ্যে কোন আরাম না পাওয়া যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


➢ অ্যালার্জির ক্ষেত্রে অ্যান্টিহাইস্টামাইন ওষুধ বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামারেটরী আই ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হবে।


➢ বিশেষ করে চোখের পৃষ্ঠ থেকে অ্যালার্জেন ধোয়ার জন্য ড্রপ, শুষ্ক চোখকে আদ্র (কৃত্রিম জল আনতে সাহায্য করে) রাখতে সাহায্য করে এরকম ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।


➢ ঘরের মধ্যে চারপাশে বাটি ভর্তি জল রাখতে হবে, শুষ্ক চোখের চিকিৎসা করার জন্য বায়ুকে যতটা সম্ভব আর্দ্র করে তুলতে হবে যা চোখ চুলকানির কারণ হয়ে উঠতে পারে।


➢ চোখের সংক্রমণের চিকিৎসা করতে অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ বা মলম ব্যবহার করা হয়।


📒 এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?


🔲 আপনার চিকিৎসক আপনার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করবেঃ


➢ চোখের পাতা, কর্নিয়া এবং কনজাংকটিভা।


➢ চোখের গতি।


➢ আলোয় চোখের পিউপিল (চক্ষুতারা) এর প্রতিক্রিয়া।


➢ দৃষ্টি।

চোখে ব্যথা কি?

 চোখে ব্যথা কি?


চোখে ব্যথা, যা অপথ্যালম্যালজিয়া নামেও পরিচিত, হল চোখে অস্বস্তি সৃষ্টি হওয়া। চোখে ব্যথা বা অস্বস্তিভাব চক্ষুগত (চোখের উপরিভাগে) হতে পারে বা অক্ষিকোটরগত (চোখের মণির ভিতরে) হতে পারে। কোনওরকম আঘাত অথবা অ্যালার্জির কারণে বা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, কিংবা আরো কোন গুরুতর সমস্যা থাকলে চোখের যন্ত্রণা তীব্র আকার নিতে পারে। দৃষ্টিশক্তি হারানোর যেহেতু সম্ভাবনা থেকেই যায়, তাই চোখে কোনওরকম ব্যথা হলে একজন ভালো চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তাঁর পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


📒 এর সাথে সম্পর্কিত প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?


🔲 চোখে ব্যথা যেহেতু একটা উপসর্গ আর এর সঙ্গে প্রায়ই আরও নানান লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়ঃ


➢ দেখতে অসুবিধা হওয়া।


➢ প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে শিশুরা কান্নাকাটি পর্যন্ত করে।


➢ জ্বর।


➢ চোখ ফোলা।


➢ দৃষ্টিশক্তিতে স্বচ্ছতা কমে যাওয়া।


➢ বমি।


➢ কাশি এবং নাক দিয়ে জল পড়া।


➢ চোখে পিচুটি হওয়া।


📒 এর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কিভাবে করা হয়?


🔲 উপরে যে সমস্ত উপসর্গগুলি উল্লেখ করা হলো তার মধ্যে যদি কোনও একটি সমস্যা উপলব্ধি করেন, তাহলে অবিলম্বে কোনও ভালো চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে চোখ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।


➢ কার্যকরভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য, ডাক্তার আপনার চোখ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন যে কেন ব্যথা হচ্ছে।


➢ প্রয়োজনে স্লিট ল্যাম্প চক্ষু পরীক্ষার সাহায্য নিতে পারেন ডাক্তার, এতে চোখের মধ্যেকার অবস্থা ঠিক কি রকম, তা যন্ত্রের মাধ্যমে চোখের আকার বড় ভাবে দেখে বুঝতে পারেন ডাক্তার।


🔲 চোখে সংক্রমণ বা চোখে ব্যথার তীব্রতার ওপর নির্ভর করে, ডাক্তার চোখে ব্যথা কমানোর জন্য নানারকম ভাবে চোখের যত্নের পরামর্শ দিতে পারেন। তার মধ্যে কিছু হলঃ


➢ একানাগাড়ে হওয়া যন্ত্রণা কমাতে ব্যথা উপশমকারী ওষুধ দিতে পারেন।


➢ চোখের সিলিয়ারি পেশীর আড়ষ্ঠভাব কাটাতে চোখের ড্রপ দিতে পারেন। তাতে চোখের লালভাব ও ব্যথা কমে।


➢ চোখে সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল আই ড্রপ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।


➢ চোখের প্রদাহ বা ব্যথাকে আয়ত্তে আনতে স্টেরোয়েড আই ড্রপ ব্যবহার করার পরমর্শ দেন ডাক্তার।


📒 এর প্রধান কারণগুলি কি কি?


🔲 সাধারণত, কোনওরকম চোট-আঘাত এবং সংক্রমণের কারণে চোখে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া আর যেসব কারণে চোখে ব্যথা হতে পারেঃ


➢ অ্যালার্জি।


➢ অশ্রুরন্ধ কোনও ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে।


➢ মাথাব্যথা।


➢ চোখের আইরিশ বা কনীনিকায় প্রদাহ বা ব্যথা।


➢ চোখের সাদা অংশে প্রদাহ।


➢ আঞ্জনি।


➢ কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা।


➢ গ্লুকোমা – চোখে চাপ বাড়ে এতে।


➢ কর্নিয়াতে প্রদাহ বা ব্যথা।

ক্যাটারাক্ট বা ছানি কি?

 ক্যাটারাক্ট বা ছানি কি?


সবার চোখেই লেন্স থাকে আর এই লেন্স জিনিসটিই আমাদের কোনও কিছু দেখতে সাহায্য করে। ব্যাপারটি চশমা ব্যবহার করা অথবা ক্যামেরায় লেন্স ব্যবহার করার মতো, আমরা কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি তা আমাদের চোখের লেন্সের স্বচ্ছতার ওপর নির্ভর করে। ক্যাটাব়্যাক্ট বা ছানি হলো এমন একটি অসুখ, যেখানে আমাদের চোখের লেন্স ঘোলাটে হয়ে ওঠে ফলে স্বাভাবিক দৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হয়। সাধারণত, বয়ষ্কদের ক্ষেত্রেই আমরা এই সমস্যা হতে দেখি, কিন্তু এটি অল্প বয়সেও দেখা দিতে পারে। ছানি হলে ঠিক মতো দেখা যায় না, আর এর ফলে গাড়ি চালানো, যে কোনও জিনিস পড়া এবং কোনও জিনিস খুঁটিয়ে দেখার মতো দৈনন্দিন কাজকর্মে ভীষণ সমস্যা হয়।


📒 ছানির প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?


প্রাথমিক অবস্থায় ছানি হয়েছে কিনা তা বুঝে ওঠা খুব কঠিন। ছানি পড়া অসুখটি যতদিন যায় বাড়ে কিন্তু এত ধীর গতিতে হয় যে দৃষ্টি শক্তিতে পরিবর্তন এলে তা আমরা বুঝতে পারি না। অনেক ক্ষেত্রেই ছানি পড়া ব্যপারটি বার্ধক্যের লক্ষণ। এই অসুখের লক্ষণগুলি যখন ফুটে ওঠে, তখনই একে ছানি পড়া বা ক্যাটারাক্ট বলে। চোখে ছানি পড়ার উপসর্গ গুলি হলঃ


➢ আবছা এবং ঘোলাটে দৃষ্টি


➢ রাতে দেখতে অসুবিধা হওয়া


➢ পরিষ্কারভাবে পড়া ও দেখার জন্য বড়ো হরফের লেখা ও বেশি মাত্রার আলোর প্রয়োজন


➢ রঙিন জিনিসে উজ্জ্বলতা প্রত্যক্ষ না করতে পারা


➢ সূর্যের আলো ও ও তার তীব্রতায় অসুবিধা হওয়া


➢ একই জিনিস একসঙ্গে দুটি দেখা বা ডবল ভিশন


➢ উজ্জ্বল বস্তুর চারপাশে চক্র বা বর্ণবলয় দেখা


➢ প্রেসক্রিপশন ও চশমার নম্বর ঘন ঘন বদলানো


📒 ক্যাটারাক্ট বা চোখে ছানি কিভাবে নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?


🔲 চক্ষু পরীক্ষা, চিকিৎসাজনিত রোগীর পূর্বেকার ডাক্তারি ইতিহাসের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে এই অসুখের ব্যাপারে ডাক্তার নিশ্চয়তায় আসেন ও তারপর যে পরীক্ষাগুলি করেনঃ


➢ কোনও পাঠ্যবস্তু ঠিক মতো পড়তে পারছে কিনা তা দেখার জন্য ভিশন টেস্ট বা দৃষ্টি পরীক্ষা


➢ চোখের লেন্স, কর্নিয়া বা চোখের তারার আবরণ, আইরিশ এবং তাদের মধ্যে সঠিক দূরত্ব রয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য স্লিট ল্যাম্প পরীক্ষার সাহায্য নেওয়া হয়


➢ ছানি হয়েছে কিনা জানার জন্য রেটিনা বা অক্ষিপটের পরীক্ষা


চোখের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চশমার ব্যবহার করেও যদি সুরাহা না হয়, তাহলে ছানি থেকে মুক্তি পাওয়া ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য অস্ত্রোপচার করানো প্রয়োজন। ছানি অপারেশনে সাফল্য পাওয়া প্রমাণিত এবং তা নিরাপদ, আর এই অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি এখন যেভাবে উন্নত হয়েছে তাতে তাড়াতাড়ি হয়ে যায় এবং সমস্যাও হয় না। চোখে ছানি পড়া স্বাভাবিক লেন্স বদলে কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে সেটাই চোখে স্বাভাবিক লেন্সের কাজ করে। যে কৃত্রিম লেন্স বসানো হয় দৃষ্টিশক্তি ঠিক করার জন্য তা চশমার প্রয়োজনও দূর করে। ছানি বা ক্যাটার‍্যাক্ট অপারেশনের পর ছোখের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


📒 ছানি পড়ার প্রধান কারণ কি কি?


🔲 ক্যাটারাক্ট বা চোখে ছানি পড়ার জন্য যে কারণগুলি দায়ীঃ


➢ বয়স বাড়া


➢ চোখের লেন্স যে টিস্যু বা কলাগুলির দ্বারা তৈরি হয় তাতে পরিবর্তন আসা


➢ জিনগত অসুখ


➢ ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগের মতো অন্যান্য অসুখ


➢ আগে যদি চোখে অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ ইত্যাদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে


➢ দীর্ঘদিন ধরে স্টেরোয়েডের ব্যবহার

চোখ জ্বালাপোড়া কি?

 চোখ জ্বালাপোড়া কি?


চোখ জ্বালাপোড়া হল চোখের মধ্যে চুলকানি, যন্ত্রণা অথবা জ্বালার অনুভূতি। এটা প্রায়ই চোখ থেকে জল নির্গমণের সাথে বারবার ঘটে। ব্লেফারাইটিস, শুকনো চোখ, কনজাঙ্কটিভাইটিস এবং চোখের এলার্জি হল চোখ জ্বালাপোড়ার কিছু সাধারণ কারণ।


📒 এর প্রধান যুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?


🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার সাথে যুক্ত বারবার দেখা সাধারণ উপসর্গগুলি হলঃ


➢ চোখ থেকে জল পড়া


➢ জলপূর্ণ চোখ


➢ চোখের লালভাবের  সাথে বেদনা


🔲 অন্তর্নিহিত রোগের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট উপসর্গগুলি হলঃ


✔️ ব্লেফারাইটিস: এটি চোখের পাতার একটি জ্বলন যেখানে চোখের পাতার গোড়াটা তৈলাক্ত দেখায়, স্টাইয়ের উপস্থিতির সাথে খুশকির মতো ফ্লেক্সগুলি (লাল, ফুলে যাওয়া, চোখের পাতার কাছে ডেলার উপস্থিতি)


✔️ শুকনো চোখ: এটা চোখের মধ্যে যন্ত্রণা এবং বিরক্তিকর অনুভূতি; চোখের লালভাব; চোখের চারপাশে অথবা মধ্যে শ্লেষ্মা স্তরের গঠন; চোখে কিছু আটকে থাকার অনুভূতি চিহ্নিত করে


✔️ চোখের অ্যালার্জি বা কনজাংটিভাইটিস: অ্যালার্জি এবং কনজাংটিভের প্রদাহ  বেদনা, ফোলাভাব এবং চোখে চুলকানি; অশ্রুসিক্ত চোখ; চুলকানি, বন্ধ নাক এবং হাঁচি হয়ে থাকে


📒 চোখ জ্বালাপোড়ার প্রধান কারণগুলি কি কি?


🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার সাধারণ কারণগুলি হলোঃ


➢ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ


➢ অশ্রু গ্রন্থি এবং নালীর অকার্যকারীতা


➢ ধুলো এবং পরাগের মতো অস্বস্তিকর পদার্থ চোখের মধ্যে ঢুকে এলার্জির কারণ হতে পারে


➢ অতিবেগুনী রশ্মির আলোকসম্পাতে সানবার্ন হওয়ায়


🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার বিরল কারণগুলি হলোঃ


➢ ধোঁয়া, বায়ু বা খুব শুষ্ক জলবায়ুতে থাকলে


➢ দীর্ঘদিন ধরে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে


➢ রিউম্যাটয়েড আর্থরাইটিস, থাইরয়েড রোগ এবং লুপাস


➢ ঘুমের ওষুধ, অম্বলের ওষুধের মত কিছু ওষুধ


📒 এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?


➢ চোখ জ্বালাপোড়ার চিকিৎসা করতে ক্রমের মধ্যে অন্তর্নিহিত রোগ নির্ণয় করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিকিৎসার ইতিহাস নেন, বিশেষ করে কোনো অ্যালার্জি অথবা অস্বস্তিকর এবং সংক্রামক এজেন্টের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিনা তা নোট করেন।


➢ ফোলাভাব এবং লালচে ভাব পরীক্ষা করার জন্য একটি স্লিট মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। অশ্রু প্রবাহ এবং অশ্রুর ঘনত্বও পরীক্ষা করা হয়।


🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার জন্য চিকিৎসা অন্তর্নিহিত অবস্থার উপর নির্ভর করে। সেগুলো হলোঃ


➢ সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক।


➢ বেদনা এবং ফোলা চোখের থেকে মুক্তির জন্য কৃত্রিম অশ্রু বা ডিকঞ্জেস্টেন্ট চোখের ড্রপ এবং গরম ভাপ।


➢ এলার্জির ক্ষেত্রে, ডাক্তার নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেবেন।


🔲 নিজেকে যত্ন করার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলঃ


➢ ভাল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।


➢ অ্যান্টিবায়োটিক স্প্রে এবং শ্যাম্পু, শিশুদের শ্যাম্পু আপনার চোখের পাতা, চুল এবং স্কাল্প ধোয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।


➢ সানবার্নের ক্ষেত্রে সূর্যালোকের এক্সপোজার এড়ানোর জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করুন।


➢ ধুলো বা অন্য কোন বিরক্তিকর এক্সপোজারের এলার্জেন অপসারণের পরে সালাইন চোখের ড্রপ হল অপরিহার্য।


➢ প্রচুর পরিমাণে জল এবং মাছের তেলের পরিপূরকগুলি চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

চোখের রোগ-ব্যাধি

 চোখের রোগ-ব্যাধি


চোখের রোগ বিভিন্ন রকমের। এর মধ্যে কিছু রোগ আছে যেগুলো প্রধানত মানুষের অন্ধত্বের জন্য দায়ী থাকে। তবে এই পরিচ্ছেদে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব না। এখানে চোখের অন্যান্য রোগ ও ইনফেকশন নিয়ে আলোচনা করব। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরিণামেও মানুষ অন্ধ হতে পারে।


চক্ষু পল্লবের রোগঃ


জন্মগতভাবে চক্ষু পল্লবে ফাঁক থাকতে পারে। অল্প ফাঁক থাকলে কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন না হলেও চলে। তবে বেশি ফাঁক থাকলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চক্ষু পল্লব ঠিক করে নেয়া উচিত।


অ্যাপিক্যানথাস রোগও জন্মগতভাবে হতে পারে। এই রোগের বৈশিষ্ট্য হলো ত্বকের একটি খাড়া ভাঁজ নাকের গোড়া থেকে চক্ষু পল্লবের অন্তকোণ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। সাধারণত এর জন্য কোনো চিকিৎসা না করলেও চলে। তবে অনেকেই চেহারার সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অ্যাপিক্যানথাস মুক্ত হয়ে থাকেন।


ব্লেফারাইটিসঃ


অক্ষিপল্লবের প্রান্তের প্রদাহকে ব্লেফারাইটিস বলে। এ রোগ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এ রোগ হলে অক্ষিপল্লবের প্রান্তে ছোট ছোট দানার মতো খুশকি হয়। রোগাক্রান্ত জায়গাটুকু লাল ও একটু ফোলা ফোলা লাগতে পারে। অনেক সময় সামান্য ঘায়ের মতো হতে পারে; যারা এই ব্লেফারাইটিসে আক্রান্ত হন, তাদের অনেকের মাথায় খুশকি দেখা যায়। চোখের খুশকি সঠিক চিকিৎসা ও চোখের স্বাস্থ্যকর অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে সারানো যেতে পারে। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের অ্যান্টিবায়োটিক স্টেরয়েড মলম নিয়মিতভাবে কিছুদিনের জন্য লাগাতে হতে পারে।


অঞ্জনিঃ


চক্ষু পল্লবের কেশ প্রান্তের ফলিকল এবং জেইস গ্রন্থির পুঁজ সৃষ্টিকারী সংক্রমণকেই অঞ্জনি বলে। এই রোগে আক্রান্ত চক্ষু পল্লব লাল হয়ে ফুলে যায়, ব্যথা এবং পরের দিকে সাদা পুঁজবিন্দু দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুইবার করে গরম সেক দিলেই অঞ্জনি সেরে যায়।


ক্যালাজিয়নঃ


এটি হচ্ছে বিমোমিয়ান গ্রন্থির প্রদাহজনিত গ্রানোমালা। দেখতে গন্ডিকাকৃতি এবং সাধারণত অক্ষিপল্লবের প্রান্ত হতে একটু দূরে হয়। ইনফেকশন না হলে ব্যথা হয় না। ছোট আকারের ক্যালাজিয়ন বিনা চিকিৎসায় সেরে যেতে পারে। অনেকক্ষেত্রে আবার বহুদিন অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে। অনেক সময় ক্যালাজিয়ন ফুলে ব্যথা হয় এবং ভেতরের বা ত্বকের দিকে ফেটে যায়। বড় ক্যালাজিয়ন হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে। এই অস্ত্রোপচার অক্ষিপল্লবের ভেতর দিক কেটে করা হয়। ফলে অক্ষিপল্লবে কোনো কাটার দিক থাকে না।


অ্যানট্রোপিয়নঃ


এই রোগ হলে অক্ষিপল্লব পাপড়িসহ চোখের ভেতরে ঢুকে থাকে। নেত্রস্বচ্ছে পাপড়ির আঘাত লাগার ফলে চোখ খচখচ করে। মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে এবং চোখের প্রদাহ দেখা দেয়। কর্ণিয়ার প্রদাহে, বার্ধক্যে ও বহুদিন চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা থাকলেও এ রোগ হতে পারে। অনেক সময় অক্ষিপল্লবে আঘাতজনিত কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। বার্ধক্যজনিত কারণে অ্যানট্রোপিয়ন সাধারণত নিচের অক্ষিপল্লবেই দেখা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় পাপড়িসহ অক্ষিপল্লবেই দেখা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় পাপড়িসহ অক্ষিপল্লব চোখের ভেতর থেকে বাইরে রাখতে পারলে এ রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।


ইউভিয়া প্রদাহঃ


এ রোগে আক্রান্ত হলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। রোগী চোখে এবং চোখের আশপাশে বেশ ব্যথা (বিশেষ করে রাতে) অনুভব করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইউভিয়া প্রদাহের কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। তবে সিফিলিস, যক্ষ্মার জীবাণু, অ্যালার্জি ইত্যাদি কারণে এ রোগ হতে পারে। স্টিলের ব্যাধি, বাতরোগ, গেঁটে বাত, বহুমূত্র, সমবেদী, নেত্রদাহ, সেপটিশিমিয়া ইত্যাদি ইউভিয়া প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।


এ রোগ থেকে গ্লুকোমা (চোখের ভেতরের চাপ বৃদ্ধি), জটিল ছানি, থাইসিল, বালবি (চোখ সংকুচিত হয়ে ছোট হয়ে যাওয়া) ইত্যাদি জটিলতার ফলে অন্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। কাজেই জটিলতার লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে।


এ রোগের বেলায় কালবিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। যদি ইউভিয়া প্রদাহের কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়, তবে যে কারণে এ রোগ হয়েছে তার চিকিৎসাও করতে হবে।


সর্বনেত্র প্রদাহঃ


এ রোগে রোগীর চোখের সমস্ত স্তরগুলো সাংঘাতিক পুঁজ সৃষ্টিকারী সংক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত হয়। রোগীর চোখের রক্তবর্ণ এবং সমস্ত চোখ ফোলা দেখা যায়। রোগী চোখে ব্যথা অনুভব করে এবং কিছুই দেখতে পারে না।


চোখে ছিদ্রজনিত আঘাত, যে কোনো কারণে অস্ত্রোপচার, নেত্রস্বচ্ছে ছিদ্র, নেত্রস্বচ্ছে ক্ষত বা সংক্রমিত তঞ্চনাপশু (এমবোলাস) সর্বনেত্র প্রদাহ ঘটাতে পারে। প্রথমে চোখে সংক্রমণ হিসেবে শুরু হয়ে পরে গুরুতর আকারে ধারণ করে সর্বনেত্র প্রদাহ হয়। মনে রাখতে হবে যে এটি খুব মারাত্মক ব্যাধি। অতিসত্বর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু সংক্রমণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে রুখতে না পারলে চোখ তুলে ফেলার প্রয়োজন হয়।


অভ্যন্তরীণ নেত্র প্রদাহঃ


এ রোগে চোখের ভেতরে প্রদাহ হয়। প্রধান সংক্রমণ হয় ইউভিয়াল ট্রাক্টে। সঠিক চিকিৎসা দ্রুতগতিতে করতে না পারলে চোখ রক্ষা করা কঠিন হয়ে যায়। চোখের ভেতরের চাপ কমতে থাকে এবং চোখ আস্তে আস্তে নরম হয়ে ছোট হয়ে যায়। এ অবস্থায় যখন পৌঁছে তখন আর কোনো চিকিৎসাই চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে পারে না। আকস্মিকভাবে অথবা অস্ত্রোপচারের ফলে রোগজীবাণু চোখের ভেতরে ঢুকে এ রোগের সৃষ্টি করে। শরীরের ভেতরে কোথাও কোনো রোগজীবাণু থাকলে এটি রক্ত দিয়ে চোখের মধ্যে প্রবেশ করেও অভ্যন্তরীণ নেত্র প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।


এ রোগে চোখে অল্প অল্প ব্যথা হতে পারে। চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখে আলোকভীতি হয়, চোখ লাল ও রাগান্বিত দেখায়। এ রোগে চোখের মণিকে সাদা দেখায় এবং চোখের দৃষ্টি নষ্ট হয়ে যায়।


জানা প্রয়োজন যে সর্বনেত্র প্রদাহের মতো এটি একটি মারাত্মক চক্ষু ব্যাধি। সরাসরি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে সংক্রামণ আয়ত্তে আনতে না পারলে চোখ তুলে ফেলতে হয়।


ভিট্রিয়াসের রক্তপাতঃ


এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগী হঠাৎ করে চোখে কিছুই দেখতে পারে না। এভাবে দৃষ্টি হারানোর কারণ হচ্ছে ভিট্রিয়াসে রক্তের উপস্থিতি। অক্ষিপটের ছিদ্র, চক্ষু গোলকে মারাত্মক আঘাত লাগলে, শরীরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে। সাধারণত রক্তপাত খুব সামান্য হলে ভিট্রিয়াস থেকে রক্ত আপনা-আপনিই শোষিত হয়ে যায়। তবে বেশি রক্তপাত সহজে শোষিত হয় না। রক্ত অনেক দিন ভিট্রিয়াসে থাকলে পর্দার আকারে অক্ষিপটদাহ প্রবৃদ্ধি গঠন করতে পারে। আর এমন হলে রোগী চোখে কিছুই দেখতে পায় না।


রক্তপাতের কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। বিশেষ সূক্ষ্ম এবং উন্নতমানের যন্ত্রপাতির সাহায্যে বিশেষ ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রক্তাক্ত ভিট্রিয়াস পরিবর্তন করে পরিষকার স্যালাইন দিলে অনেক ক্ষেত্রেই দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব। এ ধরনের অস্ত্রোপচার সব হাসপাতালে সম্ভব নয়।


একট্রোপিয়নঃ


এ রোগে অক্ষিপল্লবের বাইরের দিক উল্টে যায়। বার্ধক্য ও অবসন্নজনিত কারণে এবং অরবিকুলারিস মাংসপেশির খিঁচুনির জন্য একট্রোপিয়ন দেখা দিতে পারে। এ রোগ সারাতে প্লাস্টিক সার্জারির দরকার পড়ে।


অক্ষিপল্লবের অন্যান্য রোগঃ


অনেক সময় অক্ষিপল্লব ঠিকমতো বন্ধ হয় না। এ অবস্থায় নেত্রস্বচ্ছ শুকিয়ে যেতে পারে বা ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। নেত্রস্বচ্ছ যাতে শুকিয়ে না যায়, সেজন্য চোখের সাধারণ মলম ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় সাময়িকভাবে চোখের পাতা সেলাই করে চোখ ঢেকে রাখা হয়। অক্ষিপল্লবে নানারকম টিউমার হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।


অশ্রু ও অশ্রুথলির রোগঃ


অশ্রু নিষকাশন পথ বন্ধ হলে বা বেশি অশ্রুক্ষরণ হলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে। তবে অশ্রু নিষকাশনের পথ বন্ধ হওয়ার কারণেই চোখ দিয়ে বেশি পানি পড়ে, বেশি অশ্রুক্ষরণের জন্য ততোটি নয়। অশ্রুগ্রন্থিতে রোগ হলে চোখের পানি কম হয়। ফলে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। যেমন- রিউম্যাটিজমে এ অবস্থা হয়ে থাকে। ভিটামিন ‘এ’র অভাব, ট্রাকমা, কেরাটোকন টিভাইটিজ সিক্কা ইত্যাদি রোগে অক্ষিশুষকতা দেখা দিতে পারে।


নবজাত শিশুদের অশ্রুথলি প্রদাহঃ


জন্মের পরে অনেক শিশুরই অশ্রুথলি এবং নাকের সংযোগকারী নালিকার ছিদ্র তৈরি হয় না। এর ফলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং অশ্রুথলিতে প্রদাহ হয়। সাধারণত নালিকার ছিদ্র উপত্বকায় সতূপ দ্বারা বন্ধ থাকার ফলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শে চোখের কোণ এবং অশ্রুথলির ওপর চাপ প্রয়োগ দ্বারাই অধিকাংশ শিশু এ রোগ থেকে নিস্তার পায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ রোগের চিকিৎসা হিসেবে অশ্রুথলি এবং নাকের সংযোগকারী নালিকার পথ পরিষকার করার প্রয়োজন হয়।


অশ্রুথলি প্রদাহঃ


অশ্রুথলিতে পুঁজ জমে লাল এবং তীব্র ব্যথা হয়ে প্রাথমিক অশ্রুথলি প্রদাহ হতে পারে। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে ল্যাক্রিমাল অস্থিতে অস্টিওমাইলাইটিস হয়ে অস্থির ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে ভেতরের দিকে ফিসটুলা হতে পারে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে অক্ষিকোঠরের বা মুখমণ্ডলের সেলুলাইটিস, এমন কি কেভার্নাস সাইনাস থ্রমবোসিস হতে পারে। এক্ষেত্রে গরম সেক, চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যথা নিবারক ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন। পুঁজ হলে বা জটিলতা দেখা দিলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।


দীর্ঘস্থায়ী অশ্রুথলিতে প্রদাহ সাধারণত মধ্যবয়সের লোকদের বেশি হয়। রোগীদের মধ্যে স্ত্রীলোকের সংখ্যাই বেশি। এ অবস্থায় রোগীদের চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। মাঝে মাঝে অশ্রুথলির এলাকা ফুলে যেতে বা লাল হতে পারে। বেশিদিন স্থায়ী হওয়ার ফলে নেত্রস্বচ্ছে ক্ষত, নেতৃবত্মে প্রদাহ, বারবার ইনফেকশন হয়ে থাকে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করাই বাঞ্ছনীয়।


নেত্রস্বচ্ছ প্রদাহ (চোখ ওঠা):


জীবাণুর আক্রমণ, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন কারণে নেত্রবত্মকলার প্রদাহ হতে পারে। এ অবস্থাকেই কনজাংটিভাইটিস বা সাধারণভাবে চোখ ওঠা বলে। বয়স নির্বিশেষে ছোট বড় সকলেই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে বয়স্কদের বেলায় নেত্রবত্ম প্রদাহ অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। চোখের ময়লা পরিষকার রাখলে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে চোখের ওষুধ ব্যবহার করলে চোখ ওঠা সেরে যায়। তবে রোগ হলে অজ্ঞতা এবং কুসংস্কারের জন্য শামুকের রস, গাছের কোনো তরল পদার্থ চোখে প্রয়োগের ফলে চোখের কোষকলার অনিষ্টসাধন হতে পারে। এমনকি এসব বস্তু চোখে লাগানোর ফলে নেত্রস্বচ্ছে ক্ষতি হয়ে অনেকে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।


নবজাতকের নেত্রবত্ম প্রদাহঃ


সদ্যপ্রসূত শিশুর চোখ ওঠা এবং শিশুর জন্মগ্রহণের তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘চোখ ওঠা’ উভয়েই চক্ষু রোগের লক্ষণ। অধিকাংশ উন্নত দেশে এ সময়ের মধ্যে শিশু চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিজ্ঞপ্তিকরণ আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক। এ থেকেই এ রোগের ভয়াবহতা অনুধাবন করা যায়।


নেত্রবত্ম প্রদাহের প্রধান লক্ষণ হলোঃ


চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখে পিচুটি জমা। আঠালো পিচুটি পড়ার ফলে চোখের পাতা একে অপরের সাথে আটকে থাকতে পারে। এ অবস্থা বিশেষ করে লক্ষণীয় হয় শিশু যখন সকালে ঘুম থেকে ওঠে। পিচুটি না ছাড়িয়ে এ সময় চক্ষুপল্লব খোলা কষ্টসাধ্য হয়। পিচুটিকে অক্ষিপল্লব আটকে থাকার ফলে, চোখের কোষকলার মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই উষ্ণ পরিবেশে রোগজীবাণুর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। এর ফলে শিশুর নেতৃস্বচ্ছের (কর্ণিয়া) কোষকলা বিনষ্ট হয়ে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।


ছোট শিশুর নেত্রবত্ম প্রদাহের লক্ষণ দেখা দিলে কালবিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। এ রোগ যাতে এক শিশুর চোখ থেকে অন্য কারো চোখে সংক্রমিত না হতে পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুর চোখে হাত বা ওষুধ লাগানোর পর প্রতিবারই হাত সাবান দিয়ে নির্মল পানিতে উত্তমরূপে ধুয়ে ফেলা উচিত। আক্রান্ত শিশুর অক্ষিপল্লব কোনো অবস্থাতেই যাতে পিচুটিতে আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিষকার তুলা দিয়ে এবং প্রয়োজনে ফুটিয়ে নেয়া ঠাণ্ডা পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখের পিচুটি পরিষকার করে দিতে হবে।


সাধারণ অ্যালাজিং-নেত্রস্বচ্ছের প্রদাহঃ


এ রোগ দেহের ভেতরের বা বাইরের কোনো অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। বাইরের অ্যালার্জেনের মধ্যে রয়েছে ফুলের পরাগ, ঘরের ধুলো, ওষুধ, গাছ-গাছড়া ইত্যাদি। ভেতরের অ্যালার্জেনের মধ্যে কোনো সংক্রমিত স্থানের জীবাণুর অংশবিশেষ, বিশেষত স্ট্যাফাইলোকক্কাস।


এ অবস্থায় চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। আলোভীতি, অস্বস্তিবোধ, চোখ চুরকানি, চোখ লাল হওয়া, নেত্রস্বচ্ছের কেমোসিস ইত্যাদি দেখা যায়। চিকিৎসার প্রধান শর্ত হচ্ছে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বস্তু দূর করতে হবে। এতে না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।


ভারনাল কনজাংটিভাইটিসঃ


এ রোগ জীবাণুর জন্য নয় বরং নেত্রবত্মের (কনজাংটিভা) এক প্রকার হাইপার সেনসিটিভ রিঅ্যাকশন বহিস্থ অ্যালার্জেনের কারণে হয়ে থাকে। এ ব্যাধি সাধারণত গ্রীষ্ম এবং বসন্তকালে হয়ে থাকে। কোনো ফুলের পাপড়ির নির্যাস বাতাসে মেশার ফলে ধূলি বা ধূলিময় আবহাওয়া এ রোগের জন্য দায়ী। সাধারণত ছয় থেকে বিশ বছর বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ ব্যাধির প্রধান উপসর্গ হচ্ছে চোখ চুলকানি, চোখ জ্বালা করা, আলোভীতি, পানি পড়া এবং চোখ লাল হওয়া। ভারনাল কনজাংটিভাইটিস চক্ষুপল্লবের ও চক্ষু গোলকের হয়। চক্ষুপল্লবের ভারনাল কনজাংটিভাইটিসে উপরের চক্ষুপল্লবের নিচে শক্ত উঁচু দানা দেখা যায়। দানাগুলোর রঙ নীলাভ সাদা। নিচের চক্ষুপল্লবেও এ ধরনের দানা দেখা যেতে পারে। চক্ষু গোলকের ভারনাল কনজাংটিভাইটিস লিম্বাসের চতুর্দিকে জিলাটিনের মতো ঘন তন্তু দ্বারা গঠিত। এ তন্তু বড় এবং ঘন হয়ে নেত্রস্বচ্ছের উপরে উঠতে পারে।


মনে রাখতে হবে যে এ রোগ অনেক সময় বেশি, আবার অনেক সময় কম হয়। এ রোগের জন্য কার্যকরী ওষুধ ব্যবহার করলে রোগ সেরে যায় বা বেশ কমে যায়। ওষুধ বন্ধ করলে রোগ আবার বেড়ে যেতে পারে বিশেষ করে চোখ চুলকানো এবং লাল হয়ে যাওয়া থেকে। পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য রোগীদের মধ্যে ওষুধ বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে কষ্ট হলেও ওষুধ যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।


নেত্রস্বচ্ছের সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাধি হচ্ছে নেতৃস্বচ্ছে ক্ষত। এ রোগের সুচিকিৎসা সঠিক সময়ে না হলে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।


কর্ণিয়ার ডিস্টফি ও ডিজেনারেশন কেরাটোকোনাসঃ


কেরাটোকোনাস হচ্ছে কর্ণিয়া অবক্ষয়। এর লক্ষণ জীবনের দ্বিতীয় দশকে দেখা যায়। এ রোগ কর্ণিয়ার কেন্দ্রবিন্দু পাতলা হয়ে যায় এবং সামনের দিকে ফুলে ওঠে। এর ফলে নেতৃস্বচ্ছ (কর্ণিয়া) মোচাকৃতি হয়ে যায়, ডেসমেটস পর্দা ফেটে যায় এবং নেতৃস্বচ্ছের অগ্রভাগে লম্বা লম্বা অস্বচ্ছতা দেখা যায়।


ঝাপসা দৃষ্টি হচ্ছে এ রোগের একমাত্র লক্ষণ। রোগী নিচের দিকে তাকালে নিচের চক্ষুপল্লবের ওপর নেতৃস্বচ্ছের দাগ পড়ে। নেত্রস্বচ্ছের ছিদ্র হতে পারে এ রোগ থেকে। এ অবস্থায় চোখে ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখা দরকার। এ রোগের ফলে নেত্রস্বচ্ছ পরিবর্তন (কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্ট) করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় এবং যে কোনো কেরাটোকোনাস রোগকেই প্রথমে কনটাক্ট লেন্স দিয়ে দৃষ্টির উন্নতির জন্য চেষ্টা করা উচিত। এ রোগে নেতৃস্বচ্ছ পরিবর্তনে বেশ ভালো সুফল লাভ করা যায়।


কর্ণিয়ার পুষ্টিদৃষ্টতা রোগসমূহে দুই চোখই একসাথে আক্রান্ত হয়। রোগের লক্ষণ হয়তো এক চোখে বেশি বা এক চোখে কম দেখা দিতে পারে। নেতৃস্বচ্ছ কতটুকু আক্রান্ত হয়েছে এবং দৃষ্টির কতটুকু ক্ষতি হয়েছে এর উপরে চিকিৎসা নির্ভর করে। নেতৃস্বচ্ছের ডিসট্রাফিতে নেতৃস্বচ্ছ বেশি আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি বেশি ঝাপসা হয়ে গেলে নেতৃস্বচ্ছ পরিবর্তন (কর্ণিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করার প্রয়োজন হয়।


শ্বেত পটলের রোগ। শ্বেত পটলের প্রদাহ দুই প্রকারঃ (ক) এপিস্কেলারাইটিস (খ) স্কেলারাইটিস


এপিস্কেলারাইটিসঃ


শ্বেত পটলের উপরে টিস্যুর প্রদাহকে এপিস্কেলারাইটিস বলে। এতে চোখ ভার ভার লাগে এবং সামান্য ব্যথা হতে পারে। ছোট মটরের দানা সমান উঁচু লাল দানা দেখা যায়। এ ধরনের দানার চারপাশ দিয়ে সামান্য কিছু জায়গা লাল হয়ে যায়। গরম সেক এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ৫-৭ দিনের জন্য চোখে লাগানোর ওষুধ ব্যবহার করলে এ অসুখ সেরে যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে, কিছু দিন পরে আবার এ অসুখ দেখা দিয়েছে। তবে এটি কোনো মারাত্মক কিছু নয়।


স্কেলারাইটিসঃ


শ্বেত পটলের প্রদাহকে স্কেলারাইটিস বলে। এ রোগে চোখে অসহ্য ব্যথা হয়। কপাল এবং মাথায় ব্যথা হতে পারে। রোগীর আলোর দিকে তাকাতে অসুবিধা হয়। চোখে অনেক সময় কম দেখে। শ্বেত পটলের প্রদাহে আক্রান্ত অংশ লাল হয়ে যায় এবং ফুলে ওঠে। এ রোগের ফলে অনেক সময় নেতৃস্বচ্ছ আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগের সঠিক চিকিৎসা সময় থাকতেই করা উচিত।

দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে নিন!

 দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে নিন!


কম্পিউটার, ল্যাপটম, ফোন, টিভি সব মিলিয়ে দিনের অধিকাংশ সময়টাই চোখের ওপর চাপ পড়ে সব থেকে বেশি। যার ফলে কম বয়সেই আশ্রয় নিতে হয় চশমার। চোখ ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল রয়েছে। মাঝে মধ্যে চোখের পাতা ফেলা, চোখ বন্ধ রাখা প্রভৃতি। কিন্তু এগুলোর থেকেও বেশি উপকার পাওয়া যায় যা থেকে তা হল, খাবার। বিশেষকিছু খাবার থেকে চোখের উপকার মেলে।


🔲 চোখ ভালো রাখতে খাদ্য তালিকায় রাখবেন কোন কোন খাবারঃ


➢ সবুজ শাক সবজিঃ শাক তেমন একটা পছন্দ করে না ছোটরা। কিন্তু শাক সবজি  থেকেই মেলে চোখের দৃষ্টির জোর। তাই প্রতিদিন সুবজ সবজি ও শাক খাওয়া জরুরী।


➢ বাদামঃ চোখের সমস্যা বাড়াতে না চাইলে খাদ্য তালিকাতে বাদাম রাখতেই হবে। বাদাম খেলে চোখ ভালো থাকে। চোখে যাঁরা চশমা পরেন তাঁদের জন্যও যাতে পাওয়ার না বারে তাই বাদাম খাওয়া উচিত।


➢ মাছঃ ছোট মাছ চোখের উপকার করে। চোট মাছ খেলে চোখ ভালো থাকে। সঙ্গে সামুদ্রিক মাছও খাওয়া যেতে পারে। এতে ফ্যাটি অ্যসিড থাকে। যার ফলে চোখ ভালো থাকে।


➢ ডিমঃ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে অতি অবশ্যই খাদ্য তালিকাতে রাখুন একটি করে ডিম। ডিম খেলে শরীরে জিঙ্ক, জিয়াক্সেনথিন-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই খাদ্য তালিকাতে ডিম রাখলে মিলবে উপকার।


➢ লেবুঃ যেকোনও লেবুই চোখের পক্ষে ভালো। লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। তাই লেবু খেলে চোখ ভালো থাকে।

চোখ ভালো রাখতে!

 চোখ ভালো রাখতে!


অবস্থানগত কারণেই গোলাকার চোখ সব সময় সুরক্ষিত। বাইরে থেকে যেটুকু দেখা যায়, সেটুকুও চোখের পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। এ ছাড়া আইলেশ ও আইভ্রু চোখকে ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করে। চোখের পানি সাধারণত ধুলাবালু ও রোগজীবাণু ধুয়ে ও ধ্বংস করে চোখকে সুস্থ রাখে।


🔲 চশমার ব্যবহারঃ


যাঁদের চোখে চশমা প্রয়োজন, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে চশমা পরা উচিত। স্বাভাবিকভাবেই ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়স থেকেই পড়াশোনা করতে ও কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়। এ সময়ে অনেকেই নিজের মনমতো রেডিমেড দৃষ্টিশক্তির চশমা ব্যবহার করেন, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চোখ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চশমা পরবেন। আবার অনেকে মনে করেন, এ সময় চশমা ব্যবহার করলে সারা জীবন চশমা ব্যবহার করতে হবে। তাই চশমা ব্যবহার করেন না। এ সময় চশমা ব্যবহার করলেই চোখ ভালো নতুবা পড়াশোনা বা কাছের জিনিস দেখতে চোখে চাপ পড়ে। এই চাপ চোখের ক্ষতি করতে থাকে। চশমা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। অস্বচ্ছ ও ফাটা লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়।


🔲 হঠাৎ চোখে কিছু পড়লেঃ


মূলত ধুলোকণা, কীটপতঙ্গ, ছোট ইটপাথর বা কাঠের টুকরা থেকে শুরু করে ছোট খেলার বল নানা কিছু আছে হঠাৎ চোখে পড়তে পারে। এসবের কারণে চোখে প্রথমে খচখচে, চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ে, তাকালে চোখ জ্বালা করে এবং চোখ বন্ধ রাখলে আরাম হয়, চোখ লাল হয়ে যায়। দ্রুত বের করে নেওয়া না হলে সেই ময়লা কর্নিয়ায় ঘষা লেগে চোখের প্রভূত ক্ষতি করতে পারে, ক্ষতির এক পর্যায়ে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এমন অনুভূতি হলে সবাই, বিশেষ করে বাচ্চারা খুব ঘন ঘন চোখ কচলাতে বা চুলকাতে থাকে, এমন কাজটি একেবারেই করা যাবে না। দেখা যায় এমন সহজ কিছু পড়ে থাকলে কটন বাডস বা তুলো একটু পেঁচিয়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে আলতো করে বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে।


🔲 আলোর সঠিক ব্যবহারঃ


চোখ যেকোনো আলোই কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রহণ করে নিতে পারে। কিন্তু চোখ ভালো রাখার জন্য কম আলো বা তীব্র আলোতে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজকর্ম করা উচিত নয়। দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি চোখে না পড়াই ভালো। রাতে টিউব লাইটের আলো চোখের জন্য আরামদায়ক। টেবিল ল্যাম্পের আলোতে লেখাপড়ার সময় ল্যাম্পটি দেয়ালের দিকে রেখে প্রতিফলিত আলোতে পড়া ভালো।


🔲 টিভি দেখাঃ


টিভি দেখার সময় টিভির পেছনের দিকের দেয়ালে একটি টিউব লাইট বা শেড-যুক্ত ৪০ বা ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে টিভি দেখা উচিত। সম্পূর্ণ অন্ধকার কক্ষে টিভি দেখা ঠিক নয়। দিনের বেলা যে দরজা বা জানালার আলো টিভি স্ক্রিনে প্রতিফলিত হয়, সেগুলো বন্ধ রাখাই ভালো। সাধারণত ১০ ফুট দূর থেকে টিভি দেখা উচিত। তবে ছয় ফুটের কম দূরত্ব থেকে টিভি দেখা উচিত নয়। বড়-ছোট বিভিন্ন সাইজের টিভি দেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। ঝিরঝির করা, কাঁপা কাঁপা ছবি ও ভৌতিক ছায়াযুক্ত ছবি না দেখাই ভালো। রঙিন টিভিতে রং, উজ্জ্বলতা ও কন্ট্রাস্ট ঠিক রেখে টিভি দেখতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ টিভি দেখা উচিত নয়, মাঝেমধ্যে দর্শন বিরতি দিয়ে টিভি দেখা চোখের জন্য ভালো।


🔲 প্রসাধনীর ব্যবহারঃ


প্রসাধনী চোখের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত প্রসাধনী চোখে ব্যবহার করলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, ব্লেফারাইটিস, স্টাই ইত্যাদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মাথায় খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুবার খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা খুশকিমুক্ত রাখতে হবে। নইলে মাথার খুশকি থেকে চোখ আক্রান্ত হয়ে চোখে ব্লেফারাইটিস দেখা দিতে পারে।


🔲 ধুলো-ময়লা ও দূষিত পরিবেশঃ


প্রতিদিন কাজের শেষে চোখ ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের শত্রু। তাই সূর্যালোক থেকে দূরে থাকা উত্তম। রোদে গেলে সানগ্লাস পরা উচিত। যাঁদের এমনিতেই চশমা পরতে হয়, তাঁদের ফটোক্রোমেটিক লেন্স ব্যবহার করা আরামদায়ক হবে। কনজাংটিভাইটিস, কর্নিয়াল আলসার, আইরাইটিসের রোগীদের জন্য এবং ছানি অপারেশনের পর কালো চশমা ব্যবহার করা জরুরি। চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে ধুয়ে ঘুমানো উত্তম।


🔲 বিভিন্ন রোগের সময় চোখের যত্নঃ


বাচ্চাদের হাম, জলবসন্ত, হুপিংকাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগে বিশেষ যত্ন নেওয়া আবশ্যক। এসব রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখে ডায়াবেটিস রেটিনোপেথি হতে পারে। এসব রোগে নিয়মিত ও সঠিক নিয়ে ডায়াবেটিস বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে চোখ ভালো রাখা সম্ভব।

কম্পিউটার কাজে চোখের যত্ন!

 কম্পিউটার কাজে চোখের যত্ন!


চোখের জন্যই আমাদের চারপাশের পৃ্থিবী এত সুন্দর। আবার প্রত্যেক মানুষের শরীরে সব থেকে স্পর্শকাতর অঙ্গ চোখ। তাই চোখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই দিনের বেশ খানিকটা সময় কাটান কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। নিজের অজান্তেই আপনার দুই চোখের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করছেন না তো? চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোন বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে বের হওয়া নীল রশ্মির প্রভাবে চোখের ক্ষতি হয়। তা ছাড়া, কিছু আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ কাজেও চোখের ক্ষতি হয়।  তবে চিন্তার কিছু নেই। রোজ মেনে চলতে হবে কিছু সহজ টোটকা। জীবনযাত্রায় আনতে হবে ছোট কিছু পরিবর্তন। তা হলেই ঠিক থাকবে আপনার দৃষ্টিশক্তি।


🔲 যাঁরা চশমা পরেন, তাঁরা নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করান। চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চশমা ব্যবহার করুন।


🔲 দিনে বেশ কয়েকবার চোখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিন। বাইরে থেকে এসে অথবা কম্পিউটারে বসে একটানা কাজের করার ফাঁকে চোখে জলের ঝাপটা দিন। কয়েকদিন নিয়মিত করলেই উপকার টের পাবেন।


🔲 ট্রেনে বাসে প্রতিদিন অনেকে যাতায়াত করেন। ট্রেন-বাসের হাতলে, সিটে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। সিট বা হাতলে হাত দেওয়ার পর সেই হাত ভুলেও চোখে দেবেন না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত মুছে অথবা বাড়ি ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই চোখে হাত দেবেন। 


🔲 রোদে বের হওয়ার সময়ে অবশ্যই রোদচশমা পরুন। কোনও ভাল সংস্থার রোদচশমা ব্যবহার করুন। ইউ-ভি প্রোটেকশান থাকলে খুবই ভাল।


🔲 চোখ সুস্থ রাখতে নজর দিন আপনার খাদ্যাভ্যাসেও। রোজ খাবার পাতে রাখুন প্রচুর শাক-সবজি। ভিটামিন A চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A আছে এমন কয়েকটি খাবার হল- রাঙা আলু, গাজর, পালং শাক, ব্রকোলি, লাল শাক, ক্যাপসিকাম, কমলালেবু, টম্যাটো, পেঁপে, পাকা আম ইত্যাদি। 


🔲 বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে 'নাইট মোড' বা 'ওয়ার্ম মোড' বলে একটি অপশান থাকে। এই অপশনটি অন করলেই ফোনের স্ক্রিন হলদেটে হয়ে যায়। এর ফলে স্ক্রিন থেকে বের হওয়া ক্ষতিকর নীল রশ্মির পরিমাণ কম থাকে। কোনও কোনও কম্পিউটারের স্ক্রিনেও থাকে এই ওয়ার্ম মোড।


🔲 বিছানায় শুয়ে বই পড়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। কিছু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে শুয়ে শুয়ে বই পড়লে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এর প্রধান কারণ, শুয়ে বই পড়ার সময়ে চোখ থেকে বইয়ের পাতার দূরত্ব সমান থাকে না। বইয়ের অ্যাঙ্গেলও বার বার আলাদা হয়। তা ছাড়া, চোখের পেশিগুলির উপরেও চাপ পড়ে। বেশিদিন এই অভ্যাস বজায় রাখলে প্রভাব পড়ে চোখে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে পারে। হতে পারে মাথা ব্যাথাও। পাশ ফিরে শুয়ে বই পড়লেও ক্ষতি হতে পারে। বই পড়ুন বসে। চোখ থেকে বইয়ের দূরত্ব রাখুন ১৫ ইঞ্চি।

নিয়মিত চোখের যত্ন!

 নিয়মিত চোখের যত্ন!

থার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সুন্দর রাখতে আমাদের চেষ্টা যেন শেষ নেই। পার্লার থেকে জিমে যাওয়া কোন কিছুই বাদ রাখি না। অথচ একটি বারও ভাবি না সুনয়না চোখের কথা। কিন্তু যখন সাজতে বসি প্রথমেই মাথায় আসে চোখ দুটিকে কিভাবে সাজাবো। তখন আর কিছু পরোয়া করি না। তাই চোখ বাবাজিও মাঝে মাঝে বিগড়ে বসে! এ জন্যই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়া দরকার। আসুন জেনে নেই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু সহজ উপায়।


➢ চোখের পেশির রক্ত সরবরাহ সচল রাখতে দুই হাতের তালু কয়েক মিনিট ঘষে আলতোভাবে হাতের তালু দিয়ে আলাদা করে চোখ বন্ধ রাখুন পাঁচ সেকেন্ড ।


➢ এক হাত দূরে একটি কলম নিয়ে সোজা কলমটির দিকে তাকিয়ে থাকুন তারপর ধীরে ধীরে কলমটিকে কাছাকাছি নিয়ে আসেন যতক্ষণ পর্যন্ত না কলমটিকে ঘোলাটে দেখা যায়। এরপর আবারও কলমটিকে ধীরে ধীরে কাছে থেকে দূরে নিয়ে যান এবং খেয়াল রাখুন চোখের দৃষ্টি যেন কলমের দিকে থাকে।


➢ চোখের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে ঘরের সব ছোটখাট বস্তুগুলোর দিকে হালকাভাবে একটার পর একটাতে দৃষ্টি বুলাতে থাকুন।


➢ রাতে ঘুমানোর সময় চোখ বন্ধ করে চোখের পাতা আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ২ মিনিট ম্যাসাজ করুন।


➢ চোখের ক্লান্তি দূর ও পেশি শক্তিশালী করতে ক্লকওয়াইজ ও এন্টি ক্লকওয়াইজ (Anti-Clockwise) চোখের মণি ঘুরিয়ে চোখের ব্যায়াম ১০ সেকেন্ড করে করুন।


📒 যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন এ (Vitamin A), ভিটামিন সি (Vitamin C) এবং ভিটামিন ই (Vitamin E) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সে সমস্ত খাদ্য রোজকার খাবারে রাখার চেষ্টা করুন। তাছাড়া ভিটামিন ডি (Vitamin D) যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, বিট, পেঁপে ইত্যাদি পুষ্টিকর শাক সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত চোখের যত্ন নিতে আপনি আরও যা যা করতে পারেন  তা নিম্নরূপঃ


➢ ঠান্ডা টি-ব্যাগ (Tea Bag) চোখের পক্ষে আরামদায়ক।


➢ মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দইয়ের সাথে মিশিয়ে চোখের নিচে লাগালে উপকার পাবেন।


➢ তুলসি পাতা বাটা (Tulshi Paste) ও চন্দন বাটা (Chandon Paste), গোলাপ জল (Rose Water) দিয়ে মিশিয়ে চোখে লাগান।


➢ দিনের বেলা বাইরে বেরোনোর সময় সূর্যের আলো থেকে চোখকে বাঁচাতে সানগ্লাস (Sun glass) ও ছাতা ব্যবহার করুন।


➢ ঘুম চোখকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম ও পুনর্দৃষ্টির জন্য শক্তি দেয় তাই চোখের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।


➢ রোজ সকালে ১০ মিনিট চোখের ব্যায়াম করুন। চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকার।


➢ যখন তখন চোখে হাত দিবেন না তাতে হাতের ময়লা থেকে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবচোখের নরম ত্বকে বলিরেখা পড়ে।


➢ দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখার জন্যে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খান যেমন, গাজর, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, আম, লালশাক ইত্যাদি।


➢ পুদিনা পাতার রস (Mint leaves juice) চোখর কালো (Dark Circle) দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার রস তুলাতে করে চোখের যে অংশে কালো দাগ আছে সেখানে লাগান, সেক্ষত্রে সাবধান থাকবেন যেন কোনভাবেই এই রস চোখের ভেতরে প্রবেশ না করে।


➢ ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখ বন্ধ করে চারপাশে বাদামের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করুন। বাদামের তেল কালো দাগ তুলতে খুব ভালো কাজ করে এবং চোখের চামড়া কুঁচকানোও দূর করে।


➢ চোখের মেকআপের জন্য সব সময় খুব ভালো ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে দামের সঙ্গে একটু কম্প্রোমাইজ করে নিন। দিনের বেলাতে চোখে খুব একটা চড়া মেকআপ না করাই ভালো। সান প্রটেক্ট মেকআপ (Makeup) প্রোডাক্টই দিনে ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে মেকআপ অবশ্যই খুব ভালো করে তুলে নিয়ে তবেই শুতে যাবেন।


➢ চোখের মেকআপ তুলতে অলিভ তেল (Olive Oil) বা আমন্ড তেল (Almond Oil) ব্যবহার করুন। আন্ডার আই ক্রিম (Under Eye Cream) ব্যবহার করুন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে।


📒 চোখের যত্ন নিতে কিছু খাদ্যঃ


🔲 বিভিন্ন শাক সবজি


শাক সবজিতে আছে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন যা সূর্য থেকে আসা সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায়।


🔲 ডিম


গবেষকদের মতে, ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন (lutein), জিয়াক্সানথিন (Zeaxanthin) এবং জিংক (Zinc) আছে যেগুলো চোখের ম্যাকুলার (Mcular) পতন রোধে সাহায্য করে থাকে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খেতে পারেন।


🔲 গাজর


বিটা ক্যারোটিন (Beta carotene) এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টে (Antioxidant) ভরপুর গাজর চোখের ম্যাকুলার কমে যাওয়া এবং ছানি পড়া প্রতিরোধ করে। গাজর খেলে চোখে কম দেখা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হয়ে যায়। এই সবজিটি আপনি সালাদের সাথে বা বিভিন্ন সবজির সাথে রান্না করে খেতে পারেন। তবে কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।


🔲 কাজুবাদাম


গবেষকরা বলেন কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই (Vitamin E) যা চোখের ম্যাকুলার (Macular) পতন অনেকটা কমিয়ে ফেলতে পারে।


🔲 মিষ্টি আলু


মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন (Beta carotene) রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং রাতের আলোতে চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।


📒 চোখের যত্ন নিতে আরো কিছু!


➢ প্রতিদিন অন্তত ৮/১০ গ্লাস পানি পান করুন।


➢ বেশি বেশি সবুজ শাক-সবজি খান। খাবারের পাশাপাশি সালাদ খাবেন।


➢ বাইরে থেকে ফিরে চোখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ঝাপটা দিন।


➢ ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। আমরা যাই করি না কেন যদি নিয়মিত করতে পারি তবে তার ফল আমরা অবশ্যই পাব।


➢ চোখের তলায় কালি থাকলে দূর করতে আলু কিংবা শসার টুকরো চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।

চোখের সুস্থতা!

 চোখের সুস্থতা!


যেকোনো আঘাত ও ধুলোবালি থেকে চোখের নিরাপত্তা দিতে গগলস পরুন।


🔲 কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন।


🔲 নিয়মিত ডিম খেলে দেহে লুটেনের সরবরাহ ঘটে। এসব উপাদান চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ন করে।


🔲 সুযোগ পেলেই চোখে পানি দিন। মুখ ধোয়ার সময় চোখে বেশি বেশি পানি দিন। এতে চোখের ধুলো পরিষ্কার হবে।


🔲 ধূমপান চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটি ত্যাগ করুন।


🔲 চোখে মেকআপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। যদি নিয়েই থাকেন তবে যত দ্রুত সম্ভব ধুয়ে ফেলুন।


🔲 প্রচুর পালং শাক খান। এতে বহু ধরনের পুষ্টি উপাদান ও লুটেন রয়েছে। নানা সমস্যা দূর করবে পালং শাক।


🔲 কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিন।


🔲 চোখ যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত, তখন একটু ম্যাসাজে উপকার মেলে। বিশেষ করে মাথায় হালকা ম্যাসাজ করলে ভালো বোধ করবেন।


🔲 ঘুমের অভাবে মাথা ও চোখে ব্যথা হয়। ঘুমালেই চোখ শান্তি পাবে।


🔲 প্রথমেই খাবারের কথা বলতে হয়। খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ রাখুন। এতে প্রচুর ওমেগা-৩ রয়েছে।


🔲 চোখের সমস্যা নিয়মিত হলে নিয়মিত বিশেষজ্ঞের কাছে চোখ দেখান।


🔲 মাঝে মাঝে চোখ পিটপিট করা চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখুন। প্রতি তিন-চার সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা বন্ধ ও খোলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।


🔲 চোখকে আরাম দিন। যেমন দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুই চোখে ধরুন। এতে চোখ জ্বলা কমে যাবে এবং আরাম বোধ করবেন।


🔲 আমরা সাধারণত কাছের বস্তুতে দৃষ্টি দিতে অভ্যস্ত। দূরে দৃষ্টি দিন। হাঁটতে বা বসে দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন।


🔲 সূর্যের আলো চোখের ফ্রি চিকিৎসা দেয়। তবে প্রখর রোদ নয়। খুব সকালের এবং শেষ বিকেলের আলো চোখের যত্ন নেয়।


🔲 অনেকে চোখে ঝাপসা দেখেন। পানির ঝাপটা নিয়ে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শুষ্ক অবস্থার কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে।


🔲 আর্দ্রতাবিহীন বাতাস থেকে চোখ দুটি দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এয়ারকন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখা উচিত।

Tuesday, 25 February 2020

SQUINT ( STRABISMUS)

                               SQUINT ( STRABISMUS)


A squint, or strabismus, is a condition in which the eyes do not align properly. One eye turns inwards, upwards, downwards, or outwards, while the other one focuses on one spot.
TYPES:

There are several different types of squint (strabismus). Squints can be classified or described in various ways, including;

  • By the direction of the squinting eye (ie the eye not looking perfect in the direction of gaze):
    • An eye that turns inwards is called esotropia.
    • An eye that turns outwards is called an exotropia.
    • An eye that turns upwards is called a hypertropia.
    • An eye that turns downwards is called a hypotropia.
  • By how constantly the squint is present:
    • Squint which is present all the time is called a constant squint.
    • Squint that comes and goes is called an intermittent squint.
  • By when the squint is seen:
    • If it happens when the eyes are open and being used it is called a manifest squint.
    • If it happens only when the eye is covered or shut it is called a latent squint.
  • By whether the severity of the squint is the same in all directions or not:
    • A concomitant squint means that the angle (degree) of the squint is always the same in every direction that you look. That is, the two eyes move well, all the muscles are working but the two eyes are always out of alignment by the same amount, no matter which way you look.
    • An incomitant squint means that the angle of squint can vary. For example, when you look to the left, there may be no squint and the eyes are aligned. However, when you look to the right, one eye may not move as far and the eyes are then not aligned.

  • CAUSES:

Strabismus can be caused by problems with the eye muscles, the nerves that transmit information to the muscles, or the control center in the brain that directs eye movements. It can also develop due to other general health conditions or eye injuries.


  • Risk factors for developing strabismus include:

    • Family history. People with parents or siblings who have strabismus are more likely to develop it.
    • Refractive error. People who have a significant amount of uncorrected farsightedness (hyperopia) may develop strabismus because of the additional eye focusing they must do to keep objects clear.
    • Medical conditions. People with conditions such as Down syndrome and cerebral palsy or who have suffered a stroke or head injury are at a higher risk for developing strabismus.
    • Accommodative esotropia often occurs because of uncorrected farsightedness (hyperopia). The eye's focusing system is linked to the system that controls where the eyes point. People who are farsighted are focusing extra hard to keep images clear. This may cause the eyes to turn inward. Symptoms of accommodative esotropia may include seeing double, closing or covering one eye when doing close work, and tilting or turning the head.
    • Intermittent exotropia may develop when a person cannot coordinate both eyes together. The eyes may point beyond the object being viewed. People with intermittent exotropia may experience headaches, difficulty reading and eye strain. They also may close one eye when viewing at distance or in bright sunlight.


    • DIAGNOSIS:
    • An optometrist can diagnosis squint through some comprehensive eye examination.

    • Patient history: A doctor of optometry will ask the patient or parent about any current symptoms. In addition, the doctor will note any general health problems, medications or environmental factors that may be contributing to the symptoms.
    • Visual Acuity: A doctor of optometry will measure visual acuity to assess how much vision is being affected. For the test, you will be asked to read letters on reading charts that are near and at a distance. 
    • Refraction: A doctor of optometry can conduct refraction to determine the appropriate lens power you need to compensate for any refractive error (nearsightedness, farsightedness or astigmatism). Using an instrument called a phoropter, the doctor places a series of lenses in front of your eyes and measures how they focus light using a handheld lighted instrument called a retinoscope. Or the doctor may use an automated or handheld instrument that evaluates the refractive power of the eye without the patient needing to answer any questions.
    • Alignment and focusing testing: Your doctor of optometry needs to assess how well your eyes focus, move and work together. To obtain a clear, single image of what you are viewing, your eyes must effectively change focus, move and work in unison. This testing will look for problems that keep your eyes from focusing effectively or make it difficult to use both eyes together.
    • Examination of eye health: Using various testing procedures, your doctor of optometry will observe the internal and external structures of your eyes to rule out any eye disease that may be contributing to strabismus. This testing will determine how the eyes respond under normal seeing conditions. For patients who can't respond verbally or when some of the eyes focusing power may be hidden, your doctor may use eye drops. The eye drops temporarily keep the eyes from changing focus during testing.
    cover - uncover test

  • TREATMENT:

    • Glasses: If hypermetropia, or long-sightedness, is causing the squint, glasses can usually correct it.
    • Eye patch: Worn over the good eye, a patch can get the other eye, the one with the squint, to work better.
    • Botulinum toxin injection, or botox: this is injected into a muscle on the surface of the eye. The doctor may recommend this treatment if no underlying cause can be identified and if signs and symptoms appear suddenly. The botox temporarily weakens the injected muscle, and this can help the eyes to align properly.
    • Eye drops and eye exercises may help.
    • Vision therapy: Your doctor of optometry might prescribe a structured program of visual activities to improve eye coordination and eye focusing. Vision therapy trains the eyes and brain to work together more effectively. These eye exercises can help problems with eye movement, eye focusing and eye teaming and reinforce the eye-brain connection. Treatment can occur in your doctor of optometry's office as well as at home.
    • Prism lenses: These special lenses are thicker on one side than the other. The prisms alter the light entering the eye and reduce how much turning the eye must do to view objects. Sometimes the prisms can eliminate the eye turning.
    • Surgery: Surgery is only used if other treatments are not effective. It can realign the eyes and restore binocular vision. The surgeon moves the muscle that connects to the eye to a new position. Sometimes both eyes need to be operated on to get the right balance.




----------------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, 5 February 2020

HOW TO PREVENT CATARACT ?

                      HOW TO PREVENT CATARACT?

CATARACT IS AN AGING PROCESSES WHICH CAN DEVELOPE IN EVERY PERSON IN OLD AGE & IN OUR MODERN LIFE CATARACT DEVELOPE VERY QUICKLY AT THE AGE OF AROUND 40 YEARS.

THERE ARE SOME LIFESTYLE FACTORS WHICH HELP TO DEVELOPE CATARACT SLOWLY IN OLDER AGE.

THEY ARE-
  1. REGULAR EYE CHECKUP --To determine whether you have a cataract, your doctor will review your medical history and symptoms, and perform an eye examination. Your doctor may conduct several tests, including:
                 Visual acuity tests. A visual acuity test uses an eye chart to measure how well you can read a series of letters.

    2. EAT A HEALTHY DIET--
                       IN YOUR DIET PLAN KEEP RICH NUTRIENT FOODS, VEGETABLES, ANTIOXIDANT FOODS, VITAMIN, OMEGA-3  WHICH ARE HELP TO DEVELOPE CATARACT IN OUR BODY SLOWLY.
FOOD LIST -
  • TOMATOES
  • BROCCOLI
  • ORANGE
  •  POTATOES
  •   EGGS
  • STRAWBERRIES
  • GREEN TEA
  • SEA FISH


     3. PROTECT YOUR EYES FROM UV RAYS - WEARING SUNGLASS TO PROTECT YOUR EYES FROM UV RAYS OF SUNLIGHT.

      4. CONTROL YOUR SYSTEMIC DISEASE-
                     SYSTEMIC DISEASE LIKE>>>
                                       ARTHRITIS, 
                                       HIGH BLOOD PRESSURE,                                                     DIABETES,   
                                       THYROIDS

     5. LESS USE OF DRUGS:-
                           CORTICOSTEROIDS DRUGS ARE HELP TO DEVELOPE CATARACT VERY QUICKLY SO AVOID OR LESS USE OF CORTICOSTEROIDS DRUGS. 

     6. MAINTAIN A HEALTHY WEIGHT 
     7. QUIT SMOKING- IN THE SMOKING PERSON CATARACT DEVELOPE QUICKLY, SO QUIT SMOKING IS HELPFUL.  

--------------------------------------------------------------------------------
     

Tuesday, 4 February 2020

KERATITIS

KERATITIS


Keratitis is a condition in which the eye's cornea, the clear dome on the front surface of the eye, becomes inflamed. The condition is often marked by moderate to intense pain and usually involves any of the following symptoms: pain, impaired eyesight, photophobia (light sensitivity), red-eye and a 'gritty' sensation.


Causes

There are two main types of keratitis, depending on what causes it. Keratitis may be classified as either infectious or noninfectious.


Infectious keratitis

Bacteria: Pseudomonas aeruginosa and Staphylococcus aureus are the two most common types of bacteria that cause bacterial keratitis. It mostly develops in people who use contacts improperly.=
Fungi: Fungal keratitis is caused by Aspergillus, Candida, or Fusarium. As with bacterial keratitis, fungal keratitis is most likely to affect those who wear contact lenses. However, it’s also possible to be exposed to these fungi outdoors
Parasites: An organism called Acanthamoeba has become more common in the United States in those wearing contact lenses. The parasite lives outdoors and may be picked up by swimming in a lake, walking in a wooded area, or getting infected water on your contact lenses. This type of infection is called Acanthamoeba keratitis.
Viruses: Viral keratitis is primarily caused by the herpes simplex virus, which progresses from conjunctivitis to keratitis.

Noninfectious keratitis

Possible noninfectious causes of keratitis include:
  • eye injury, such as a scratch
  • wearing your contacts too long
  • using extended-wear contacts
  • wearing your contacts while swimming
  • living in a warm climate, which increases the risk of plant materials damaging your cornea
  • a weakened immune system
  • exposure to intense sunlight called photokeratitis

Symptoms

Signs and symptoms of keratitis include:
  • Eye redness
  • Eye pain
  • Excess tears or other discharge from your eye
  • Difficulty opening your eyelid because of pain or irritation
  • Blurred vision
  • Decreased vision
  • Sensitivity to light (photophobia)
  • A feeling that something is in your eye

Sign


  • Lid edema
  • ciliary congestion of the conjunctiva

Risk factors

Factors that may increase your risk of keratitis include:
  • Contact lenses. Wearing contact lenses — especially sleeping in the lenses —increases your risk of both infectious and noninfectious keratitis. The risk typically stems from wearing them longer than recommended, improper disinfection or wearing contact lenses while swimming.
    Keratitis is more common in people who use extended-wear contacts or wear contacts continuously, than in those who use daily wear contacts and take them out at night.
  • Reduced immunity. If your immune system is compromised due to disease or medications, you're at a higher risk of developing keratitis.
  • Corticosteroids. The use of corticosteroid eye drops to treat an eye disorder can increase your risk of developing infectious keratitis or worsen existing keratitis.
  • Eye injury. If one of your corneas has been damaged from an injury in the past, you may be more vulnerable to developing keratitis.

Keratitis treatment

  • antibiotics for bacterial infections
  • biocides for parasitic infections
  • antifungals for fungal infections
  • antivirals for viral infections

Complications

Potential complications of keratitis include:
  • Chronic corneal inflammation and scarring
  • Chronic or recurrent viral infections of your cornea
  • Open sores on your cornea (corneal ulcers)
  • Temporary or permanent reduction in your vision
  • Blindness

Prevention

Caring for your contact lenses

If you wear contact lenses, proper use, cleaning and disinfecting can help prevent keratitis. Follow these tips:
  • Choose daily wear contacts, and take them out before going to sleep.
  • Wash, rinse and dry your hands thoroughly before handling your contacts.
  • Follow your eye care professional's recommendations for taking care of your lenses.
  • Use only sterile products that are made specifically for contact lens care, and use lens care products made for the type of lenses you wear.
  • Gently rub the lenses during cleaning to enhance the cleaning performance of the contact lens solutions. Avoid rough handling that might cause your lenses to become scratched.
  • Replace your contact lenses as recommended.
  • Replace your contact lens case every three to six months.
  • Discard the solution in the contact lens case each time you disinfect your lenses. Don't "top off" the old solution that's already in the case.
  • Don't wear contact lenses when you go swimming.
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------