Ads

SEARCH

Saturday, 1 May 2021

চোখে ব্যথা কি?

 চোখে ব্যথা কি?


চোখে ব্যথা, যা অপথ্যালম্যালজিয়া নামেও পরিচিত, হল চোখে অস্বস্তি সৃষ্টি হওয়া। চোখে ব্যথা বা অস্বস্তিভাব চক্ষুগত (চোখের উপরিভাগে) হতে পারে বা অক্ষিকোটরগত (চোখের মণির ভিতরে) হতে পারে। কোনওরকম আঘাত অথবা অ্যালার্জির কারণে বা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, কিংবা আরো কোন গুরুতর সমস্যা থাকলে চোখের যন্ত্রণা তীব্র আকার নিতে পারে। দৃষ্টিশক্তি হারানোর যেহেতু সম্ভাবনা থেকেই যায়, তাই চোখে কোনওরকম ব্যথা হলে একজন ভালো চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তাঁর পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


📒 এর সাথে সম্পর্কিত প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?


🔲 চোখে ব্যথা যেহেতু একটা উপসর্গ আর এর সঙ্গে প্রায়ই আরও নানান লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়ঃ


➢ দেখতে অসুবিধা হওয়া।


➢ প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে শিশুরা কান্নাকাটি পর্যন্ত করে।


➢ জ্বর।


➢ চোখ ফোলা।


➢ দৃষ্টিশক্তিতে স্বচ্ছতা কমে যাওয়া।


➢ বমি।


➢ কাশি এবং নাক দিয়ে জল পড়া।


➢ চোখে পিচুটি হওয়া।


📒 এর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কিভাবে করা হয়?


🔲 উপরে যে সমস্ত উপসর্গগুলি উল্লেখ করা হলো তার মধ্যে যদি কোনও একটি সমস্যা উপলব্ধি করেন, তাহলে অবিলম্বে কোনও ভালো চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে চোখ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।


➢ কার্যকরভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য, ডাক্তার আপনার চোখ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন যে কেন ব্যথা হচ্ছে।


➢ প্রয়োজনে স্লিট ল্যাম্প চক্ষু পরীক্ষার সাহায্য নিতে পারেন ডাক্তার, এতে চোখের মধ্যেকার অবস্থা ঠিক কি রকম, তা যন্ত্রের মাধ্যমে চোখের আকার বড় ভাবে দেখে বুঝতে পারেন ডাক্তার।


🔲 চোখে সংক্রমণ বা চোখে ব্যথার তীব্রতার ওপর নির্ভর করে, ডাক্তার চোখে ব্যথা কমানোর জন্য নানারকম ভাবে চোখের যত্নের পরামর্শ দিতে পারেন। তার মধ্যে কিছু হলঃ


➢ একানাগাড়ে হওয়া যন্ত্রণা কমাতে ব্যথা উপশমকারী ওষুধ দিতে পারেন।


➢ চোখের সিলিয়ারি পেশীর আড়ষ্ঠভাব কাটাতে চোখের ড্রপ দিতে পারেন। তাতে চোখের লালভাব ও ব্যথা কমে।


➢ চোখে সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল আই ড্রপ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।


➢ চোখের প্রদাহ বা ব্যথাকে আয়ত্তে আনতে স্টেরোয়েড আই ড্রপ ব্যবহার করার পরমর্শ দেন ডাক্তার।


📒 এর প্রধান কারণগুলি কি কি?


🔲 সাধারণত, কোনওরকম চোট-আঘাত এবং সংক্রমণের কারণে চোখে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া আর যেসব কারণে চোখে ব্যথা হতে পারেঃ


➢ অ্যালার্জি।


➢ অশ্রুরন্ধ কোনও ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে।


➢ মাথাব্যথা।


➢ চোখের আইরিশ বা কনীনিকায় প্রদাহ বা ব্যথা।


➢ চোখের সাদা অংশে প্রদাহ।


➢ আঞ্জনি।


➢ কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা।


➢ গ্লুকোমা – চোখে চাপ বাড়ে এতে।


➢ কর্নিয়াতে প্রদাহ বা ব্যথা।

Related Posts: