Sunday, 6 April 2025
রেটিনাল ভাস্কুলার রোগসমূহ
Tuesday, 1 April 2025
রেটিনা: গঠন, সমস্যা, লক্ষণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
রেটিনা কি?
রেটিনার স্তর বা লেয়ার (Layers of Retina)
রেটিনা দশটি (১০) স্তর নিয়ে গঠিত:
রেটিনার সাধারণ রোগসমূহ (Common Retinal Diseases)
Saturday, 1 May 2021
লেজার চিকিৎসা!
লেজার চিকিৎসা!
লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কোনো ধরনের রক্তপাত ছাড়াই চোখের আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতিকে ল্যাসিক বলে। সাধারণত দৃষ্টিজনিত ত্রুটি, অর্থাৎ দূরের বা কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের জন্যই ল্যাসিক করা হয়ে থাকে। দৃষ্টিত্রুটির কারণে যাঁরা প্লাস বা মাইনাস চশমা ব্যবহার করেন, তাঁদের ল্যাসিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে মূলত চোখের কর্নিয়ার পুরুত্ব পরিবর্তন করে ঝাপসা দেখা বা কম দেখার সমস্যা দূর করা হয়। ফলে রোগীকে আর চশমা ব্যবহার করতে হয় না। তবে যেকোনো দৃষ্টিত্রুটির ক্ষেত্রে যাঁদের বেশি পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করতে হয়, ল্যাসিকের পর তাঁদের ভারী চশমার পরিবর্তে খুব অল্প পাওয়ারের চশমা হলেই চলে। ল্যাসিকে কোনো অ্যানেসথেশিয়া বা কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন হয় না।
🔲 ল্যাসিকের আগে করণীয়ঃ
ল্যাসিকের আগে কয়েকটি পরীক্ষা করতে হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের বর্তমান সমস্যার মাত্রা (চশমার পাওয়ার) ও কর্নিয়ার পুরুত্ব নির্ণয় করা হয়। ল্যাসিকের কর্নিয়াল টপোগ্রাফি নামের আরেকটি ভিজ্যুয়াল টেস্টও করা হয়। পরীক্ষার পর চোখকে প্রস্তুত করতে আই ড্রপের পরামর্শ দেওয়া হয়। সার্জারির আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও কালো চশমা সংগ্রহ করতে হবে।
🔲 ল্যাসিক কাদের জন্য প্রযোজ্যঃ
সাধারণত যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং যাঁদের চশমার পাওয়ার গত এক বছর স্থিতিশীল, তাঁদেরই চিকিৎসকেরা ল্যাসিকের পরামর্শ দিয়ে থাকেনঃ
➢ মাইওপিয়া বা দূরের বস্তু কম বা ঝাপসা দেখেন, এমন রোগীদের মধ্যে যাঁদের চশমার ক্ষমতা মাইনাস ১ থেকে মাইনাস ১২, তাঁদের জন্য ল্যাসিক প্রযোজ্য।
➢ হাইপারমেট্রোপিয়া বা যাঁরা কাছের বস্তু কম বা ঝাপসা দেখেন, এমন রোগীদের মধ্যে যাঁদের চশমার ক্ষমতা প্লাস ১ থেকে প্লাস ৫, তাঁদের জন্য এ চিকিৎসাপদ্ধতি প্রযোজ্য।
➢ অ্যাস্টিগম্যাটিজম বা কর্নিয়ার সুষমতা না থাকলে কিংবা চোখের লেন্সের বক্রতার ত্রুটির কারণে কম দেখেন, এমন রোগীদের মধ্যে যাঁদের চশমার ক্ষমতা প্লাস শূন্য দশমিক ৫ থেকে প্লাস ৫ পর্যন্ত, তাঁদের জন্য ল্যাসিক প্রযোজ্য।
➢ কর্নিয়ার ডিসট্রফি ত্রুটি নিরাময়ে ল্যাসিক করা যেতে পারে।
চোখে চুলকানি কি?
চোখে চুলকানি কি?
চোখ চুলকানি (ওকিউলার প্রুরিটাস), একটি খুব সাধারণ সমস্যা, এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি ট্রিগার বা এলার্জেনের প্রতিক্রিয়ার কারণে শরীর হিস্টামিন নামক এক কেমিকাল উন্মোচন করে। এর ফলে চোখের রক্তবাহী নালী প্রসারিত হয় এবং তার কারণে চোখ চুলকায় ও জ্বলে, চোখ জলে ভরে যায় আবার কখনও লাল হয়ে যায়।
📒 চোখে চুলকানির প্রধান সংযুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?
🔲 চোখে চুলকানির সাথে যেসব লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি দেখা যায় তা হলোঃ
➢ চোখের পৃষ্ঠে এবং পৃষ্ঠতলের ঝিল্লিতে প্রদাহ।
➢ সর্দি।
➢ গলা ধরে যাওয়া।
➢ হাঁচি।
➢ চোখের পাতা ফুলে যাওয়া।
➢ চোখ জলে ভরে যাওয়া।
➢ চোখ জ্বালা করা।
➢ চোখ লাল হওয়া।
📒 এর প্রধান কারণগুলি কি?
🔲 চোখে চুলকানি সাধারণত নিম্নলিখিত যেকোনো একটি কারণের জন্য হয়ঃ
➢ অ্যালার্জি (ধুলোর জীবাণু, মোল্ড (এক ধরণের ছত্রাক), চোখের ড্রপ বা পশুর পশম)।
➢ আপনার চোখের চারপাশে ডার্মাটাইটিস।
➢ ড্রাই আই সিনড্রোম - যখন আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণ অশ্রু উৎপাদন করতে পারে না, যা চোখের পৃষ্ঠতলকে আর্দ্র এবং আরামদায়ক রাখতে সাহায্য করে।
➢ কেমিকাল বা বাহির থেকে কোন পদার্থ চোখের ভেতর প্রবেশ করে (মেকআপ বা পুলের ভিতরে থাকা ক্লোরিন)।
➢ ব্লেফারাইটিস - একটি সংক্রমণ যার কারণে চোখের পাতাতে প্রদাহ হয়ে যায়।
➢ কন্ট্যাক্ট লেন্সের কারণে সংক্রমণ।
➢ কোনো এক ড্রাগের প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার কারণে (অ্যান্টিহাইস্টামাইনিকস, পেনকিলার, এন্টিডিপ্রেসেন্টস, বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ)।
🔲 চোখ চুলকানির চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত হল চিহ্নিত কারণগুলির চিকিৎসা, যেগুলির মধ্যে রয়েছেঃ
📒 যদি বাহির থেকে কোন পদার্থ চোখের ভেতর প্রবেশ করে থাকে সেই ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি করা যেতে পারেঃ
✔️ স্যালাইন বা উষ্ণ গরম জলে দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা।
✔️ বন্ধ চোখে আইস প্যাক, পরিষ্কার, ঠাণ্ডা, স্যাঁতস্যাঁতে কাপড়ে চোখের ওপর রাখা।
✔️ ঠান্ডা জল ব্যবহার করে চোখ ধোয়া।
✔️ চোখ রগড়ানো এড়িয়ে চলা এবং যদি 24 ঘণ্টার মধ্যে কোন আরাম না পাওয়া যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
➢ অ্যালার্জির ক্ষেত্রে অ্যান্টিহাইস্টামাইন ওষুধ বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামারেটরী আই ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হবে।
➢ বিশেষ করে চোখের পৃষ্ঠ থেকে অ্যালার্জেন ধোয়ার জন্য ড্রপ, শুষ্ক চোখকে আদ্র (কৃত্রিম জল আনতে সাহায্য করে) রাখতে সাহায্য করে এরকম ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
➢ ঘরের মধ্যে চারপাশে বাটি ভর্তি জল রাখতে হবে, শুষ্ক চোখের চিকিৎসা করার জন্য বায়ুকে যতটা সম্ভব আর্দ্র করে তুলতে হবে যা চোখ চুলকানির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
➢ চোখের সংক্রমণের চিকিৎসা করতে অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ বা মলম ব্যবহার করা হয়।
📒 এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
🔲 আপনার চিকিৎসক আপনার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করবেঃ
➢ চোখের পাতা, কর্নিয়া এবং কনজাংকটিভা।
➢ চোখের গতি।
➢ আলোয় চোখের পিউপিল (চক্ষুতারা) এর প্রতিক্রিয়া।
➢ দৃষ্টি।
চোখে ব্যথা কি?
চোখে ব্যথা কি?
চোখে ব্যথা, যা অপথ্যালম্যালজিয়া নামেও পরিচিত, হল চোখে অস্বস্তি সৃষ্টি হওয়া। চোখে ব্যথা বা অস্বস্তিভাব চক্ষুগত (চোখের উপরিভাগে) হতে পারে বা অক্ষিকোটরগত (চোখের মণির ভিতরে) হতে পারে। কোনওরকম আঘাত অথবা অ্যালার্জির কারণে বা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, কিংবা আরো কোন গুরুতর সমস্যা থাকলে চোখের যন্ত্রণা তীব্র আকার নিতে পারে। দৃষ্টিশক্তি হারানোর যেহেতু সম্ভাবনা থেকেই যায়, তাই চোখে কোনওরকম ব্যথা হলে একজন ভালো চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তাঁর পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
📒 এর সাথে সম্পর্কিত প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
🔲 চোখে ব্যথা যেহেতু একটা উপসর্গ আর এর সঙ্গে প্রায়ই আরও নানান লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়ঃ
➢ দেখতে অসুবিধা হওয়া।
➢ প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে শিশুরা কান্নাকাটি পর্যন্ত করে।
➢ জ্বর।
➢ চোখ ফোলা।
➢ দৃষ্টিশক্তিতে স্বচ্ছতা কমে যাওয়া।
➢ বমি।
➢ কাশি এবং নাক দিয়ে জল পড়া।
➢ চোখে পিচুটি হওয়া।
📒 এর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কিভাবে করা হয়?
🔲 উপরে যে সমস্ত উপসর্গগুলি উল্লেখ করা হলো তার মধ্যে যদি কোনও একটি সমস্যা উপলব্ধি করেন, তাহলে অবিলম্বে কোনও ভালো চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে চোখ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
➢ কার্যকরভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য, ডাক্তার আপনার চোখ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন যে কেন ব্যথা হচ্ছে।
➢ প্রয়োজনে স্লিট ল্যাম্প চক্ষু পরীক্ষার সাহায্য নিতে পারেন ডাক্তার, এতে চোখের মধ্যেকার অবস্থা ঠিক কি রকম, তা যন্ত্রের মাধ্যমে চোখের আকার বড় ভাবে দেখে বুঝতে পারেন ডাক্তার।
🔲 চোখে সংক্রমণ বা চোখে ব্যথার তীব্রতার ওপর নির্ভর করে, ডাক্তার চোখে ব্যথা কমানোর জন্য নানারকম ভাবে চোখের যত্নের পরামর্শ দিতে পারেন। তার মধ্যে কিছু হলঃ
➢ একানাগাড়ে হওয়া যন্ত্রণা কমাতে ব্যথা উপশমকারী ওষুধ দিতে পারেন।
➢ চোখের সিলিয়ারি পেশীর আড়ষ্ঠভাব কাটাতে চোখের ড্রপ দিতে পারেন। তাতে চোখের লালভাব ও ব্যথা কমে।
➢ চোখে সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল আই ড্রপ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।
➢ চোখের প্রদাহ বা ব্যথাকে আয়ত্তে আনতে স্টেরোয়েড আই ড্রপ ব্যবহার করার পরমর্শ দেন ডাক্তার।
📒 এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
🔲 সাধারণত, কোনওরকম চোট-আঘাত এবং সংক্রমণের কারণে চোখে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া আর যেসব কারণে চোখে ব্যথা হতে পারেঃ
➢ অ্যালার্জি।
➢ অশ্রুরন্ধ কোনও ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে।
➢ মাথাব্যথা।
➢ চোখের আইরিশ বা কনীনিকায় প্রদাহ বা ব্যথা।
➢ চোখের সাদা অংশে প্রদাহ।
➢ আঞ্জনি।
➢ কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা।
➢ গ্লুকোমা – চোখে চাপ বাড়ে এতে।
➢ কর্নিয়াতে প্রদাহ বা ব্যথা।
ক্যাটারাক্ট বা ছানি কি?
ক্যাটারাক্ট বা ছানি কি?
সবার চোখেই লেন্স থাকে আর এই লেন্স জিনিসটিই আমাদের কোনও কিছু দেখতে সাহায্য করে। ব্যাপারটি চশমা ব্যবহার করা অথবা ক্যামেরায় লেন্স ব্যবহার করার মতো, আমরা কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি তা আমাদের চোখের লেন্সের স্বচ্ছতার ওপর নির্ভর করে। ক্যাটাব়্যাক্ট বা ছানি হলো এমন একটি অসুখ, যেখানে আমাদের চোখের লেন্স ঘোলাটে হয়ে ওঠে ফলে স্বাভাবিক দৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হয়। সাধারণত, বয়ষ্কদের ক্ষেত্রেই আমরা এই সমস্যা হতে দেখি, কিন্তু এটি অল্প বয়সেও দেখা দিতে পারে। ছানি হলে ঠিক মতো দেখা যায় না, আর এর ফলে গাড়ি চালানো, যে কোনও জিনিস পড়া এবং কোনও জিনিস খুঁটিয়ে দেখার মতো দৈনন্দিন কাজকর্মে ভীষণ সমস্যা হয়।
📒 ছানির প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
প্রাথমিক অবস্থায় ছানি হয়েছে কিনা তা বুঝে ওঠা খুব কঠিন। ছানি পড়া অসুখটি যতদিন যায় বাড়ে কিন্তু এত ধীর গতিতে হয় যে দৃষ্টি শক্তিতে পরিবর্তন এলে তা আমরা বুঝতে পারি না। অনেক ক্ষেত্রেই ছানি পড়া ব্যপারটি বার্ধক্যের লক্ষণ। এই অসুখের লক্ষণগুলি যখন ফুটে ওঠে, তখনই একে ছানি পড়া বা ক্যাটারাক্ট বলে। চোখে ছানি পড়ার উপসর্গ গুলি হলঃ
➢ আবছা এবং ঘোলাটে দৃষ্টি
➢ রাতে দেখতে অসুবিধা হওয়া
➢ পরিষ্কারভাবে পড়া ও দেখার জন্য বড়ো হরফের লেখা ও বেশি মাত্রার আলোর প্রয়োজন
➢ রঙিন জিনিসে উজ্জ্বলতা প্রত্যক্ষ না করতে পারা
➢ সূর্যের আলো ও ও তার তীব্রতায় অসুবিধা হওয়া
➢ একই জিনিস একসঙ্গে দুটি দেখা বা ডবল ভিশন
➢ উজ্জ্বল বস্তুর চারপাশে চক্র বা বর্ণবলয় দেখা
➢ প্রেসক্রিপশন ও চশমার নম্বর ঘন ঘন বদলানো
📒 ক্যাটারাক্ট বা চোখে ছানি কিভাবে নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?
🔲 চক্ষু পরীক্ষা, চিকিৎসাজনিত রোগীর পূর্বেকার ডাক্তারি ইতিহাসের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে এই অসুখের ব্যাপারে ডাক্তার নিশ্চয়তায় আসেন ও তারপর যে পরীক্ষাগুলি করেনঃ
➢ কোনও পাঠ্যবস্তু ঠিক মতো পড়তে পারছে কিনা তা দেখার জন্য ভিশন টেস্ট বা দৃষ্টি পরীক্ষা
➢ চোখের লেন্স, কর্নিয়া বা চোখের তারার আবরণ, আইরিশ এবং তাদের মধ্যে সঠিক দূরত্ব রয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য স্লিট ল্যাম্প পরীক্ষার সাহায্য নেওয়া হয়
➢ ছানি হয়েছে কিনা জানার জন্য রেটিনা বা অক্ষিপটের পরীক্ষা
চোখের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চশমার ব্যবহার করেও যদি সুরাহা না হয়, তাহলে ছানি থেকে মুক্তি পাওয়া ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য অস্ত্রোপচার করানো প্রয়োজন। ছানি অপারেশনে সাফল্য পাওয়া প্রমাণিত এবং তা নিরাপদ, আর এই অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি এখন যেভাবে উন্নত হয়েছে তাতে তাড়াতাড়ি হয়ে যায় এবং সমস্যাও হয় না। চোখে ছানি পড়া স্বাভাবিক লেন্স বদলে কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে সেটাই চোখে স্বাভাবিক লেন্সের কাজ করে। যে কৃত্রিম লেন্স বসানো হয় দৃষ্টিশক্তি ঠিক করার জন্য তা চশমার প্রয়োজনও দূর করে। ছানি বা ক্যাটার্যাক্ট অপারেশনের পর ছোখের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
📒 ছানি পড়ার প্রধান কারণ কি কি?
🔲 ক্যাটারাক্ট বা চোখে ছানি পড়ার জন্য যে কারণগুলি দায়ীঃ
➢ বয়স বাড়া
➢ চোখের লেন্স যে টিস্যু বা কলাগুলির দ্বারা তৈরি হয় তাতে পরিবর্তন আসা
➢ জিনগত অসুখ
➢ ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগের মতো অন্যান্য অসুখ
➢ আগে যদি চোখে অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ ইত্যাদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে
➢ দীর্ঘদিন ধরে স্টেরোয়েডের ব্যবহার
চোখ জ্বালাপোড়া কি?
চোখ জ্বালাপোড়া কি?
চোখ জ্বালাপোড়া হল চোখের মধ্যে চুলকানি, যন্ত্রণা অথবা জ্বালার অনুভূতি। এটা প্রায়ই চোখ থেকে জল নির্গমণের সাথে বারবার ঘটে। ব্লেফারাইটিস, শুকনো চোখ, কনজাঙ্কটিভাইটিস এবং চোখের এলার্জি হল চোখ জ্বালাপোড়ার কিছু সাধারণ কারণ।
📒 এর প্রধান যুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার সাথে যুক্ত বারবার দেখা সাধারণ উপসর্গগুলি হলঃ
➢ চোখ থেকে জল পড়া
➢ জলপূর্ণ চোখ
➢ চোখের লালভাবের সাথে বেদনা
🔲 অন্তর্নিহিত রোগের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট উপসর্গগুলি হলঃ
✔️ ব্লেফারাইটিস: এটি চোখের পাতার একটি জ্বলন যেখানে চোখের পাতার গোড়াটা তৈলাক্ত দেখায়, স্টাইয়ের উপস্থিতির সাথে খুশকির মতো ফ্লেক্সগুলি (লাল, ফুলে যাওয়া, চোখের পাতার কাছে ডেলার উপস্থিতি)
✔️ শুকনো চোখ: এটা চোখের মধ্যে যন্ত্রণা এবং বিরক্তিকর অনুভূতি; চোখের লালভাব; চোখের চারপাশে অথবা মধ্যে শ্লেষ্মা স্তরের গঠন; চোখে কিছু আটকে থাকার অনুভূতি চিহ্নিত করে
✔️ চোখের অ্যালার্জি বা কনজাংটিভাইটিস: অ্যালার্জি এবং কনজাংটিভের প্রদাহ বেদনা, ফোলাভাব এবং চোখে চুলকানি; অশ্রুসিক্ত চোখ; চুলকানি, বন্ধ নাক এবং হাঁচি হয়ে থাকে
📒 চোখ জ্বালাপোড়ার প্রধান কারণগুলি কি কি?
🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার সাধারণ কারণগুলি হলোঃ
➢ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
➢ অশ্রু গ্রন্থি এবং নালীর অকার্যকারীতা
➢ ধুলো এবং পরাগের মতো অস্বস্তিকর পদার্থ চোখের মধ্যে ঢুকে এলার্জির কারণ হতে পারে
➢ অতিবেগুনী রশ্মির আলোকসম্পাতে সানবার্ন হওয়ায়
🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার বিরল কারণগুলি হলোঃ
➢ ধোঁয়া, বায়ু বা খুব শুষ্ক জলবায়ুতে থাকলে
➢ দীর্ঘদিন ধরে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে
➢ রিউম্যাটয়েড আর্থরাইটিস, থাইরয়েড রোগ এবং লুপাস
➢ ঘুমের ওষুধ, অম্বলের ওষুধের মত কিছু ওষুধ
📒 এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
➢ চোখ জ্বালাপোড়ার চিকিৎসা করতে ক্রমের মধ্যে অন্তর্নিহিত রোগ নির্ণয় করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিকিৎসার ইতিহাস নেন, বিশেষ করে কোনো অ্যালার্জি অথবা অস্বস্তিকর এবং সংক্রামক এজেন্টের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিনা তা নোট করেন।
➢ ফোলাভাব এবং লালচে ভাব পরীক্ষা করার জন্য একটি স্লিট মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। অশ্রু প্রবাহ এবং অশ্রুর ঘনত্বও পরীক্ষা করা হয়।
🔲 চোখ জ্বালাপোড়ার জন্য চিকিৎসা অন্তর্নিহিত অবস্থার উপর নির্ভর করে। সেগুলো হলোঃ
➢ সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক।
➢ বেদনা এবং ফোলা চোখের থেকে মুক্তির জন্য কৃত্রিম অশ্রু বা ডিকঞ্জেস্টেন্ট চোখের ড্রপ এবং গরম ভাপ।
➢ এলার্জির ক্ষেত্রে, ডাক্তার নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেবেন।
🔲 নিজেকে যত্ন করার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলঃ
➢ ভাল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
➢ অ্যান্টিবায়োটিক স্প্রে এবং শ্যাম্পু, শিশুদের শ্যাম্পু আপনার চোখের পাতা, চুল এবং স্কাল্প ধোয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
➢ সানবার্নের ক্ষেত্রে সূর্যালোকের এক্সপোজার এড়ানোর জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
➢ ধুলো বা অন্য কোন বিরক্তিকর এক্সপোজারের এলার্জেন অপসারণের পরে সালাইন চোখের ড্রপ হল অপরিহার্য।
➢ প্রচুর পরিমাণে জল এবং মাছের তেলের পরিপূরকগুলি চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে নিন!
দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে নিন!
কম্পিউটার, ল্যাপটম, ফোন, টিভি সব মিলিয়ে দিনের অধিকাংশ সময়টাই চোখের ওপর চাপ পড়ে সব থেকে বেশি। যার ফলে কম বয়সেই আশ্রয় নিতে হয় চশমার। চোখ ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল রয়েছে। মাঝে মধ্যে চোখের পাতা ফেলা, চোখ বন্ধ রাখা প্রভৃতি। কিন্তু এগুলোর থেকেও বেশি উপকার পাওয়া যায় যা থেকে তা হল, খাবার। বিশেষকিছু খাবার থেকে চোখের উপকার মেলে।
🔲 চোখ ভালো রাখতে খাদ্য তালিকায় রাখবেন কোন কোন খাবারঃ
➢ সবুজ শাক সবজিঃ শাক তেমন একটা পছন্দ করে না ছোটরা। কিন্তু শাক সবজি থেকেই মেলে চোখের দৃষ্টির জোর। তাই প্রতিদিন সুবজ সবজি ও শাক খাওয়া জরুরী।
➢ বাদামঃ চোখের সমস্যা বাড়াতে না চাইলে খাদ্য তালিকাতে বাদাম রাখতেই হবে। বাদাম খেলে চোখ ভালো থাকে। চোখে যাঁরা চশমা পরেন তাঁদের জন্যও যাতে পাওয়ার না বারে তাই বাদাম খাওয়া উচিত।
➢ মাছঃ ছোট মাছ চোখের উপকার করে। চোট মাছ খেলে চোখ ভালো থাকে। সঙ্গে সামুদ্রিক মাছও খাওয়া যেতে পারে। এতে ফ্যাটি অ্যসিড থাকে। যার ফলে চোখ ভালো থাকে।
➢ ডিমঃ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে অতি অবশ্যই খাদ্য তালিকাতে রাখুন একটি করে ডিম। ডিম খেলে শরীরে জিঙ্ক, জিয়াক্সেনথিন-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই খাদ্য তালিকাতে ডিম রাখলে মিলবে উপকার।
➢ লেবুঃ যেকোনও লেবুই চোখের পক্ষে ভালো। লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। তাই লেবু খেলে চোখ ভালো থাকে।
চোখ ভালো রাখতে!
চোখ ভালো রাখতে!
অবস্থানগত কারণেই গোলাকার চোখ সব সময় সুরক্ষিত। বাইরে থেকে যেটুকু দেখা যায়, সেটুকুও চোখের পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। এ ছাড়া আইলেশ ও আইভ্রু চোখকে ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করে। চোখের পানি সাধারণত ধুলাবালু ও রোগজীবাণু ধুয়ে ও ধ্বংস করে চোখকে সুস্থ রাখে।
🔲 চশমার ব্যবহারঃ
যাঁদের চোখে চশমা প্রয়োজন, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে চশমা পরা উচিত। স্বাভাবিকভাবেই ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়স থেকেই পড়াশোনা করতে ও কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়। এ সময়ে অনেকেই নিজের মনমতো রেডিমেড দৃষ্টিশক্তির চশমা ব্যবহার করেন, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চোখ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চশমা পরবেন। আবার অনেকে মনে করেন, এ সময় চশমা ব্যবহার করলে সারা জীবন চশমা ব্যবহার করতে হবে। তাই চশমা ব্যবহার করেন না। এ সময় চশমা ব্যবহার করলেই চোখ ভালো নতুবা পড়াশোনা বা কাছের জিনিস দেখতে চোখে চাপ পড়ে। এই চাপ চোখের ক্ষতি করতে থাকে। চশমা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। অস্বচ্ছ ও ফাটা লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়।
🔲 হঠাৎ চোখে কিছু পড়লেঃ
মূলত ধুলোকণা, কীটপতঙ্গ, ছোট ইটপাথর বা কাঠের টুকরা থেকে শুরু করে ছোট খেলার বল নানা কিছু আছে হঠাৎ চোখে পড়তে পারে। এসবের কারণে চোখে প্রথমে খচখচে, চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ে, তাকালে চোখ জ্বালা করে এবং চোখ বন্ধ রাখলে আরাম হয়, চোখ লাল হয়ে যায়। দ্রুত বের করে নেওয়া না হলে সেই ময়লা কর্নিয়ায় ঘষা লেগে চোখের প্রভূত ক্ষতি করতে পারে, ক্ষতির এক পর্যায়ে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এমন অনুভূতি হলে সবাই, বিশেষ করে বাচ্চারা খুব ঘন ঘন চোখ কচলাতে বা চুলকাতে থাকে, এমন কাজটি একেবারেই করা যাবে না। দেখা যায় এমন সহজ কিছু পড়ে থাকলে কটন বাডস বা তুলো একটু পেঁচিয়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে আলতো করে বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে।
🔲 আলোর সঠিক ব্যবহারঃ
চোখ যেকোনো আলোই কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রহণ করে নিতে পারে। কিন্তু চোখ ভালো রাখার জন্য কম আলো বা তীব্র আলোতে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজকর্ম করা উচিত নয়। দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি চোখে না পড়াই ভালো। রাতে টিউব লাইটের আলো চোখের জন্য আরামদায়ক। টেবিল ল্যাম্পের আলোতে লেখাপড়ার সময় ল্যাম্পটি দেয়ালের দিকে রেখে প্রতিফলিত আলোতে পড়া ভালো।
🔲 টিভি দেখাঃ
টিভি দেখার সময় টিভির পেছনের দিকের দেয়ালে একটি টিউব লাইট বা শেড-যুক্ত ৪০ বা ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে টিভি দেখা উচিত। সম্পূর্ণ অন্ধকার কক্ষে টিভি দেখা ঠিক নয়। দিনের বেলা যে দরজা বা জানালার আলো টিভি স্ক্রিনে প্রতিফলিত হয়, সেগুলো বন্ধ রাখাই ভালো। সাধারণত ১০ ফুট দূর থেকে টিভি দেখা উচিত। তবে ছয় ফুটের কম দূরত্ব থেকে টিভি দেখা উচিত নয়। বড়-ছোট বিভিন্ন সাইজের টিভি দেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। ঝিরঝির করা, কাঁপা কাঁপা ছবি ও ভৌতিক ছায়াযুক্ত ছবি না দেখাই ভালো। রঙিন টিভিতে রং, উজ্জ্বলতা ও কন্ট্রাস্ট ঠিক রেখে টিভি দেখতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ টিভি দেখা উচিত নয়, মাঝেমধ্যে দর্শন বিরতি দিয়ে টিভি দেখা চোখের জন্য ভালো।
🔲 প্রসাধনীর ব্যবহারঃ
প্রসাধনী চোখের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত প্রসাধনী চোখে ব্যবহার করলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, ব্লেফারাইটিস, স্টাই ইত্যাদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মাথায় খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুবার খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা খুশকিমুক্ত রাখতে হবে। নইলে মাথার খুশকি থেকে চোখ আক্রান্ত হয়ে চোখে ব্লেফারাইটিস দেখা দিতে পারে।
🔲 ধুলো-ময়লা ও দূষিত পরিবেশঃ
প্রতিদিন কাজের শেষে চোখ ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের শত্রু। তাই সূর্যালোক থেকে দূরে থাকা উত্তম। রোদে গেলে সানগ্লাস পরা উচিত। যাঁদের এমনিতেই চশমা পরতে হয়, তাঁদের ফটোক্রোমেটিক লেন্স ব্যবহার করা আরামদায়ক হবে। কনজাংটিভাইটিস, কর্নিয়াল আলসার, আইরাইটিসের রোগীদের জন্য এবং ছানি অপারেশনের পর কালো চশমা ব্যবহার করা জরুরি। চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে ধুয়ে ঘুমানো উত্তম।
🔲 বিভিন্ন রোগের সময় চোখের যত্নঃ
বাচ্চাদের হাম, জলবসন্ত, হুপিংকাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগে বিশেষ যত্ন নেওয়া আবশ্যক। এসব রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখে ডায়াবেটিস রেটিনোপেথি হতে পারে। এসব রোগে নিয়মিত ও সঠিক নিয়ে ডায়াবেটিস বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে চোখ ভালো রাখা সম্ভব।
কম্পিউটার কাজে চোখের যত্ন!
কম্পিউটার কাজে চোখের যত্ন!
চোখের জন্যই আমাদের চারপাশের পৃ্থিবী এত সুন্দর। আবার প্রত্যেক মানুষের শরীরে সব থেকে স্পর্শকাতর অঙ্গ চোখ। তাই চোখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই দিনের বেশ খানিকটা সময় কাটান কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। নিজের অজান্তেই আপনার দুই চোখের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করছেন না তো? চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোন বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে বের হওয়া নীল রশ্মির প্রভাবে চোখের ক্ষতি হয়। তা ছাড়া, কিছু আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ কাজেও চোখের ক্ষতি হয়। তবে চিন্তার কিছু নেই। রোজ মেনে চলতে হবে কিছু সহজ টোটকা। জীবনযাত্রায় আনতে হবে ছোট কিছু পরিবর্তন। তা হলেই ঠিক থাকবে আপনার দৃষ্টিশক্তি।
🔲 যাঁরা চশমা পরেন, তাঁরা নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করান। চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চশমা ব্যবহার করুন।
🔲 দিনে বেশ কয়েকবার চোখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিন। বাইরে থেকে এসে অথবা কম্পিউটারে বসে একটানা কাজের করার ফাঁকে চোখে জলের ঝাপটা দিন। কয়েকদিন নিয়মিত করলেই উপকার টের পাবেন।
🔲 ট্রেনে বাসে প্রতিদিন অনেকে যাতায়াত করেন। ট্রেন-বাসের হাতলে, সিটে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। সিট বা হাতলে হাত দেওয়ার পর সেই হাত ভুলেও চোখে দেবেন না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত মুছে অথবা বাড়ি ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই চোখে হাত দেবেন।
🔲 রোদে বের হওয়ার সময়ে অবশ্যই রোদচশমা পরুন। কোনও ভাল সংস্থার রোদচশমা ব্যবহার করুন। ইউ-ভি প্রোটেকশান থাকলে খুবই ভাল।
🔲 চোখ সুস্থ রাখতে নজর দিন আপনার খাদ্যাভ্যাসেও। রোজ খাবার পাতে রাখুন প্রচুর শাক-সবজি। ভিটামিন A চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A আছে এমন কয়েকটি খাবার হল- রাঙা আলু, গাজর, পালং শাক, ব্রকোলি, লাল শাক, ক্যাপসিকাম, কমলালেবু, টম্যাটো, পেঁপে, পাকা আম ইত্যাদি।
🔲 বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে 'নাইট মোড' বা 'ওয়ার্ম মোড' বলে একটি অপশান থাকে। এই অপশনটি অন করলেই ফোনের স্ক্রিন হলদেটে হয়ে যায়। এর ফলে স্ক্রিন থেকে বের হওয়া ক্ষতিকর নীল রশ্মির পরিমাণ কম থাকে। কোনও কোনও কম্পিউটারের স্ক্রিনেও থাকে এই ওয়ার্ম মোড।
🔲 বিছানায় শুয়ে বই পড়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। কিছু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে শুয়ে শুয়ে বই পড়লে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এর প্রধান কারণ, শুয়ে বই পড়ার সময়ে চোখ থেকে বইয়ের পাতার দূরত্ব সমান থাকে না। বইয়ের অ্যাঙ্গেলও বার বার আলাদা হয়। তা ছাড়া, চোখের পেশিগুলির উপরেও চাপ পড়ে। বেশিদিন এই অভ্যাস বজায় রাখলে প্রভাব পড়ে চোখে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে পারে। হতে পারে মাথা ব্যাথাও। পাশ ফিরে শুয়ে বই পড়লেও ক্ষতি হতে পারে। বই পড়ুন বসে। চোখ থেকে বইয়ের দূরত্ব রাখুন ১৫ ইঞ্চি।
নিয়মিত চোখের যত্ন!
নিয়মিত চোখের যত্ন!
থার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সুন্দর রাখতে আমাদের চেষ্টা যেন শেষ নেই। পার্লার থেকে জিমে যাওয়া কোন কিছুই বাদ রাখি না। অথচ একটি বারও ভাবি না সুনয়না চোখের কথা। কিন্তু যখন সাজতে বসি প্রথমেই মাথায় আসে চোখ দুটিকে কিভাবে সাজাবো। তখন আর কিছু পরোয়া করি না। তাই চোখ বাবাজিও মাঝে মাঝে বিগড়ে বসে! এ জন্যই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়া দরকার। আসুন জেনে নেই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু সহজ উপায়।
➢ চোখের পেশির রক্ত সরবরাহ সচল রাখতে দুই হাতের তালু কয়েক মিনিট ঘষে আলতোভাবে হাতের তালু দিয়ে আলাদা করে চোখ বন্ধ রাখুন পাঁচ সেকেন্ড ।
➢ এক হাত দূরে একটি কলম নিয়ে সোজা কলমটির দিকে তাকিয়ে থাকুন তারপর ধীরে ধীরে কলমটিকে কাছাকাছি নিয়ে আসেন যতক্ষণ পর্যন্ত না কলমটিকে ঘোলাটে দেখা যায়। এরপর আবারও কলমটিকে ধীরে ধীরে কাছে থেকে দূরে নিয়ে যান এবং খেয়াল রাখুন চোখের দৃষ্টি যেন কলমের দিকে থাকে।
➢ চোখের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে ঘরের সব ছোটখাট বস্তুগুলোর দিকে হালকাভাবে একটার পর একটাতে দৃষ্টি বুলাতে থাকুন।
➢ রাতে ঘুমানোর সময় চোখ বন্ধ করে চোখের পাতা আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ২ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
➢ চোখের ক্লান্তি দূর ও পেশি শক্তিশালী করতে ক্লকওয়াইজ ও এন্টি ক্লকওয়াইজ (Anti-Clockwise) চোখের মণি ঘুরিয়ে চোখের ব্যায়াম ১০ সেকেন্ড করে করুন।
📒 যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন এ (Vitamin A), ভিটামিন সি (Vitamin C) এবং ভিটামিন ই (Vitamin E) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সে সমস্ত খাদ্য রোজকার খাবারে রাখার চেষ্টা করুন। তাছাড়া ভিটামিন ডি (Vitamin D) যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, বিট, পেঁপে ইত্যাদি পুষ্টিকর শাক সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত চোখের যত্ন নিতে আপনি আরও যা যা করতে পারেন তা নিম্নরূপঃ
➢ ঠান্ডা টি-ব্যাগ (Tea Bag) চোখের পক্ষে আরামদায়ক।
➢ মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দইয়ের সাথে মিশিয়ে চোখের নিচে লাগালে উপকার পাবেন।
➢ তুলসি পাতা বাটা (Tulshi Paste) ও চন্দন বাটা (Chandon Paste), গোলাপ জল (Rose Water) দিয়ে মিশিয়ে চোখে লাগান।
➢ দিনের বেলা বাইরে বেরোনোর সময় সূর্যের আলো থেকে চোখকে বাঁচাতে সানগ্লাস (Sun glass) ও ছাতা ব্যবহার করুন।
➢ ঘুম চোখকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম ও পুনর্দৃষ্টির জন্য শক্তি দেয় তাই চোখের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
➢ রোজ সকালে ১০ মিনিট চোখের ব্যায়াম করুন। চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকার।
➢ যখন তখন চোখে হাত দিবেন না তাতে হাতের ময়লা থেকে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবচোখের নরম ত্বকে বলিরেখা পড়ে।
➢ দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখার জন্যে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খান যেমন, গাজর, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, আম, লালশাক ইত্যাদি।
➢ পুদিনা পাতার রস (Mint leaves juice) চোখর কালো (Dark Circle) দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার রস তুলাতে করে চোখের যে অংশে কালো দাগ আছে সেখানে লাগান, সেক্ষত্রে সাবধান থাকবেন যেন কোনভাবেই এই রস চোখের ভেতরে প্রবেশ না করে।
➢ ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখ বন্ধ করে চারপাশে বাদামের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করুন। বাদামের তেল কালো দাগ তুলতে খুব ভালো কাজ করে এবং চোখের চামড়া কুঁচকানোও দূর করে।
➢ চোখের মেকআপের জন্য সব সময় খুব ভালো ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে দামের সঙ্গে একটু কম্প্রোমাইজ করে নিন। দিনের বেলাতে চোখে খুব একটা চড়া মেকআপ না করাই ভালো। সান প্রটেক্ট মেকআপ (Makeup) প্রোডাক্টই দিনে ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে মেকআপ অবশ্যই খুব ভালো করে তুলে নিয়ে তবেই শুতে যাবেন।
➢ চোখের মেকআপ তুলতে অলিভ তেল (Olive Oil) বা আমন্ড তেল (Almond Oil) ব্যবহার করুন। আন্ডার আই ক্রিম (Under Eye Cream) ব্যবহার করুন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে।
📒 চোখের যত্ন নিতে কিছু খাদ্যঃ
🔲 বিভিন্ন শাক সবজি
শাক সবজিতে আছে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন যা সূর্য থেকে আসা সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায়।
🔲 ডিম
গবেষকদের মতে, ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন (lutein), জিয়াক্সানথিন (Zeaxanthin) এবং জিংক (Zinc) আছে যেগুলো চোখের ম্যাকুলার (Mcular) পতন রোধে সাহায্য করে থাকে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খেতে পারেন।
🔲 গাজর
বিটা ক্যারোটিন (Beta carotene) এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টে (Antioxidant) ভরপুর গাজর চোখের ম্যাকুলার কমে যাওয়া এবং ছানি পড়া প্রতিরোধ করে। গাজর খেলে চোখে কম দেখা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হয়ে যায়। এই সবজিটি আপনি সালাদের সাথে বা বিভিন্ন সবজির সাথে রান্না করে খেতে পারেন। তবে কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
🔲 কাজুবাদাম
গবেষকরা বলেন কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই (Vitamin E) যা চোখের ম্যাকুলার (Macular) পতন অনেকটা কমিয়ে ফেলতে পারে।
🔲 মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন (Beta carotene) রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং রাতের আলোতে চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
📒 চোখের যত্ন নিতে আরো কিছু!
➢ প্রতিদিন অন্তত ৮/১০ গ্লাস পানি পান করুন।
➢ বেশি বেশি সবুজ শাক-সবজি খান। খাবারের পাশাপাশি সালাদ খাবেন।
➢ বাইরে থেকে ফিরে চোখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ঝাপটা দিন।
➢ ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। আমরা যাই করি না কেন যদি নিয়মিত করতে পারি তবে তার ফল আমরা অবশ্যই পাব।
➢ চোখের তলায় কালি থাকলে দূর করতে আলু কিংবা শসার টুকরো চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।
চোখের সুস্থতা!
চোখের সুস্থতা!
যেকোনো আঘাত ও ধুলোবালি থেকে চোখের নিরাপত্তা দিতে গগলস পরুন।
🔲 কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন।
🔲 নিয়মিত ডিম খেলে দেহে লুটেনের সরবরাহ ঘটে। এসব উপাদান চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ন করে।
🔲 সুযোগ পেলেই চোখে পানি দিন। মুখ ধোয়ার সময় চোখে বেশি বেশি পানি দিন। এতে চোখের ধুলো পরিষ্কার হবে।
🔲 ধূমপান চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটি ত্যাগ করুন।
🔲 চোখে মেকআপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। যদি নিয়েই থাকেন তবে যত দ্রুত সম্ভব ধুয়ে ফেলুন।
🔲 প্রচুর পালং শাক খান। এতে বহু ধরনের পুষ্টি উপাদান ও লুটেন রয়েছে। নানা সমস্যা দূর করবে পালং শাক।
🔲 কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিন।
🔲 চোখ যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত, তখন একটু ম্যাসাজে উপকার মেলে। বিশেষ করে মাথায় হালকা ম্যাসাজ করলে ভালো বোধ করবেন।
🔲 ঘুমের অভাবে মাথা ও চোখে ব্যথা হয়। ঘুমালেই চোখ শান্তি পাবে।
🔲 প্রথমেই খাবারের কথা বলতে হয়। খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ রাখুন। এতে প্রচুর ওমেগা-৩ রয়েছে।
🔲 চোখের সমস্যা নিয়মিত হলে নিয়মিত বিশেষজ্ঞের কাছে চোখ দেখান।
🔲 মাঝে মাঝে চোখ পিটপিট করা চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখুন। প্রতি তিন-চার সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা বন্ধ ও খোলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
🔲 চোখকে আরাম দিন। যেমন দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুই চোখে ধরুন। এতে চোখ জ্বলা কমে যাবে এবং আরাম বোধ করবেন।
🔲 আমরা সাধারণত কাছের বস্তুতে দৃষ্টি দিতে অভ্যস্ত। দূরে দৃষ্টি দিন। হাঁটতে বা বসে দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন।
🔲 সূর্যের আলো চোখের ফ্রি চিকিৎসা দেয়। তবে প্রখর রোদ নয়। খুব সকালের এবং শেষ বিকেলের আলো চোখের যত্ন নেয়।
🔲 অনেকে চোখে ঝাপসা দেখেন। পানির ঝাপটা নিয়ে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শুষ্ক অবস্থার কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে।
🔲 আর্দ্রতাবিহীন বাতাস থেকে চোখ দুটি দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এয়ারকন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখা উচিত।
Tuesday, 3 March 2020
MEDICO LEGAL ASPECTS
There are several precautionary steps you can take to protect yourself from malpractice suits.
(1) Assume a likable chairside manner: Some of us are blessed with this natural demeanor, but some are not. Although personality is largely immutable, you can work on traits and habits conducive to communicating warmth and compassion. In one study, resident physicians received empathy training modules, after which patients rated a significantly improved physician empathy.9 Patient surveys can offer valuable feedback in guiding you. A strong patient-doctor relationship is protective against malpractice claims. “Patients don’t like suing doctors that they like,” says Michael G. Harris, OD, JD, MS, clinical professor emeritus at the UC Berkeley School of Optometry and attorney at law.
(2) Carefully document and ensure good communication: If your exam records don’t document a diagnostic test, it’s assumed that it was not done. Your duty as a practitioner is to maintain an accurate and complete record, which can be challenging in the age of electronic health records (EHR). It’s also important to communicate your diagnosis clearly to the patient, especially if there is potential for vision loss. For inconsequential findings, such as a benign iris nevus, it’s a judgment call whether to mention it. “It is important to document your advice and instructions regarding follow-up care,” Dr. Harris adds.
(3) Determine the cause of any reduced BSCVA, abnormal findings or worsening symptoms: For example, if you have a patient who presents with intraocular pressure (IOP) of 28mm Hg OD and 17mm Hg OS, then has IOP of 15mm Hg OU the next day, it is not acceptable to let the patient return in 12 months—you need to find out why there was an abnormal IOP to avoid missing a crucial diagnosis. In many instances, retinal imaging alone is not sufficient to rule out retinal pathology, as the dilated examination is the standard.10
(4) Routinely administer automated screening visual fields, tonometry and dilated eye examination: A disproportionate number of conditions practitioners allegedly failed to diagnose could have been detected with these three measures. Liberal use of pupil dilation is perhaps the single most important action an optometrist can do to reduce the likelihood of a misdiagnosis that results in malpractice claim.6
(5) Err on the side of over-referring: If your patient’s diagnosis is out of your expertise or comfort level, document the reason for referral and the name of the practitioner (if known) or type of specialist, and explain the rationale for the referral to your patient. It’s always a good idea to provide the doctor with a referral letter or a copy of your exam findings and diagnosis. Especially with high-risk conditions, such as a macula-on retinal detachment or paracentral microbial keratitis, make sure you or your staff confirm the appointment was made and document the appointment time in your records. According to Dr. Miller, “When there is no consultation report received after the patient is referred, it is always a good idea to follow up with the patient and the physician.”
(6) Administer informed consent and document when patients decline dilation when medically indicated: Dilation is crucial to confirm myriad diagnoses. If the patient recognizes the increased risk and makes an informed decision to decline dilation, thereby hindering your ability to provide a definitive diagnosis, this should be memorialized by the patient’s signature with a date. “In some cases, you may want to use a specific informed consent document and have it signed by the patient and witnessed,” says Dr. Harris. Of course, the patient must be legally able to give consent; in the event, the patient is a minor or impaired, the parent or guardian should sign the form.
(7) Stay up-to-date: Clinicians should remain current with continuing education and certifications, as diagnostics evolve with new technology, clinical practice guidelines, and court precedents. For example, the availability of anti-VEGF injections for treating wet age-related macular degeneration now opens up the possibility of increased malpractice exposure for ODs who fail to diagnose this in a timely fashion.11
(8) Have adequate professional liability insurance: Most practitioners should have at least a $2 million occurrence limit and a $4 million aggregate limit. A personal umbrella policy will not cover excess liability beyond your professional liability insurance. When you end or switch your professional liability insurance, it is wise to obtain or confirm the existence of “tail coverage,” which extends the time after you drop the policy when you can still report claims brought against you. “If you retire, make certain you are still covered for any actions that may arise out of the time you actually saw patients,” says Dr. Miller. “Beware of the statute of limitations, especially with respect to minors you saw during your practice years.”
ANATOMY OF EYE
ANATOMY OF EYE
- IT IS NOT A TRUE SPHERE, BUT CONSISTS OF THE SEGMENTS OF TWO MODIFIED SPHERES, ONE IN FROM OF THE OTHER.
- THE CORNEA IS MORE CONVEX THAN THE REST OF THE GLOBE.{7.8 mm radius as opposed to 12mm}
- THE ANTEROPOSTERIOR DIAMETER IS ABOUT 24 mm, WHILE THE VERTICAL IS 23mm AND THE HORIZONTAL IS 23.5mm.
- THE EYEBALL IS SHORTER IN HYPERMETROPES BUT LONGER IN MYOPES.
THE GLOBE :
- THREE CONCENTRIC LAYERS OR TUNICS:
- A CRYSTALLINE LENS: THE TRANSPARENT STRUCTURE IS LOCATED IMMEDIATELY BEHIND THE IRIS, AND IS SUPPORTED BY FINE FIBERS, CALLED ZONULES.
- THREE CHAMBERS :
THE CORNEA:
- AVASCULAR TRANSPARENT ORGAN;
- CLEAR/ TRANSPARENT;
- DOME-LIKE STRUCTURE;
- CONVEX STRUCTURE WITH HORIZONTAL DIAMETER 12 mm & VERTICAL DIAMETER 10-11mm.
- AVERAGE DIOPTRIC VALUE 43-45D
- THICKNESS of (540 T0 560)micrometer.
LAYERS OF CORNEA:
- ANTERIOR EPITHELIUM
- BOWMAN'S LAYER: IT DOES NOT REGENERATE & LEAVES BEHIND A SUPERFICIAL CORNEAL SCAR.
- CORNEAL STROMA: COMPRISING 90% OF CORNEAL THICKNESS.
- DESCEMET'S MEMBRANE: IT READILY REGENERATES AFTER AN INJURY.
- ENDOTHELIUM: IT DOES NOT REGENERATE IN HUMAN BEING.
THE SCLERA:
- SCLERA FORMS THE POSTERIOR 5/6ths OF THE GLOBE.
- THE TISSUE IS AVASCULAR AND APPEARS WHITE.
- THICK- 1mm; thin- 0.6 mm
- SCLERA MAINTAIN THE SHAPE OF THE GLOBE.
STRUCTURES:
LIMBUS:
THE UVEA
CONJUNCTIVA:
PARTS
PALPEBRAL- IT CONSISTS OF MARGINAL, TARSAL AND ORBITAL PART. IT IS FIRMLY ADHERENT TO THE DEEPER TISSUE.BULBAR- IT LIES OVER THE SCLERA AND IT IS FREELY MOBILE.
FORNIX- IT IS THE CUL-DE-SAC AT THE JUNCTION OF PALPEBRAL AND BULBAR CONJUNCTIVA.
LIMBAL- IT IS THE CONJUNCTIVA AT THE CORNEAL JUNCTION WHICH IS ADHERE.
LENS:
IT IS ABOUT 9 mm DIAMETER & 4mm IN THICKNESS WHEN THE SUSPENSORY LIGAMENT IS RELAYED.
RADIUS OF CURVATURE OF ANTERIOR SURFACE IS 10mm & THAT OF POSTERIOR SURFACE IS 6mm.
RETINA:
RETINA HAS TEN LAYERS-
- RETINAL PIGMENT EPITHELIUM.
- LAYERS OF ROD AND CONES
- EXTERNAL LIMITING MEMBRANE.
- OUTER NUCLEAR LAYER
- OUTER PLEXIFORM LAYER
- INNER NUCLEAR LAYER
- INNER PLEXIFORM LAYER
- GANGLION CELL LAYER
- NERVE-FIBER LAYER
- INTERNAL LIMITING MEMBRANE.
EYELIDS:-
- ORBICULAR OCULI
- LEVATOR PALPEBRAE SUPERIORIS IN THE UPPER LID ONLY.
- MULLER'S MUSCLE.
- ORBITAL SEPTUM IN THE UPPER PART
- TARSAL PLATE IN THE LOWER PART.
GLANDS:-
- MEIBOMIAN GLAND: THEY ARE MODIFIED SEBACEOUS GLAND OF LARGER IN SIZE & RESPONSIBLE FOR OILY SECRETION OF THE TEAR FILM. NUMBER> 30-40 IN UPPER LID & 20-30 IN THE LOWER LID.
- GLANS OF ZEIS
- GLANDS OF MOLL
- GLANDS OF KRAUSE & WOULFRING
- LACRIMAL GLAND
- PUNCTUM
- COMMON CANALICULUS
- LACRIMAL SAC
- NASOLACRIMAL DUCT
- SECRETORY PORTION: LACRIMAL GLAND & ACCESSORY LACRIMAL GLAND OF KRAUSE & WOULFRING
- DRAINAGE PORTION: VIA WHICH THE TEARS DRAIN INTO THE INFERIOR MEATUS OF THE NOSE.
Tuesday, 25 February 2020
SQUINT ( STRABISMUS)
SQUINT ( STRABISMUS)
- By the direction of the squinting eye (ie the eye not looking perfect in the direction of gaze):
- An eye that turns inwards is called esotropia.
- An eye that turns outwards is called an exotropia.
- An eye that turns upwards is called a hypertropia.
- An eye that turns downwards is called a hypotropia.
- By how constantly the squint is present:
- Squint which is present all the time is called a constant squint.
- Squint that comes and goes is called an intermittent squint.
- By when the squint is seen:
- If it happens when the eyes are open and being used it is called a manifest squint.
- If it happens only when the eye is covered or shut it is called a latent squint.
- By whether the severity of the squint is the same in all directions or not:
- A concomitant squint means that the angle (degree) of the squint is always the same in every direction that you look. That is, the two eyes move well, all the muscles are working but the two eyes are always out of alignment by the same amount, no matter which way you look.
- An incomitant squint means that the angle of squint can vary. For example, when you look to the left, there may be no squint and the eyes are aligned. However, when you look to the right, one eye may not move as far and the eyes are then not aligned.
- CAUSES:
Strabismus can be caused by problems with the eye muscles, the nerves that transmit information to the muscles, or the control center in the brain that directs eye movements. It can also develop due to other general health conditions or eye injuries.
Risk factors for developing strabismus include:
- Family history. People with parents or siblings who have strabismus are more likely to develop it.
- Refractive error. People who have a significant amount of uncorrected farsightedness (hyperopia) may develop strabismus because of the additional eye focusing they must do to keep objects clear.
- Medical conditions. People with conditions such as Down syndrome and cerebral palsy or who have suffered a stroke or head injury are at a higher risk for developing strabismus.
- Accommodative esotropia often occurs because of uncorrected farsightedness (hyperopia). The eye's focusing system is linked to the system that controls where the eyes point. People who are farsighted are focusing extra hard to keep images clear. This may cause the eyes to turn inward. Symptoms of accommodative esotropia may include seeing double, closing or covering one eye when doing close work, and tilting or turning the head.
- Intermittent exotropia may develop when a person cannot coordinate both eyes together. The eyes may point beyond the object being viewed. People with intermittent exotropia may experience headaches, difficulty reading and eye strain. They also may close one eye when viewing at distance or in bright sunlight.
- DIAGNOSIS:
- An optometrist can diagnosis squint through some comprehensive eye examination.
- Patient history: A doctor of optometry will ask the patient or parent about any current symptoms. In addition, the doctor will note any general health problems, medications or environmental factors that may be contributing to the symptoms.
- Visual Acuity: A doctor of optometry will measure visual acuity to assess how much vision is being affected. For the test, you will be asked to read letters on reading charts that are near and at a distance.
- Refraction: A doctor of optometry can conduct refraction to determine the appropriate lens power you need to compensate for any refractive error (nearsightedness, farsightedness or astigmatism). Using an instrument called a phoropter, the doctor places a series of lenses in front of your eyes and measures how they focus light using a handheld lighted instrument called a retinoscope. Or the doctor may use an automated or handheld instrument that evaluates the refractive power of the eye without the patient needing to answer any questions.
- Alignment and focusing testing: Your doctor of optometry needs to assess how well your eyes focus, move and work together. To obtain a clear, single image of what you are viewing, your eyes must effectively change focus, move and work in unison. This testing will look for problems that keep your eyes from focusing effectively or make it difficult to use both eyes together.
- Examination of eye health: Using various testing procedures, your doctor of optometry will observe the internal and external structures of your eyes to rule out any eye disease that may be contributing to strabismus. This testing will determine how the eyes respond under normal seeing conditions. For patients who can't respond verbally or when some of the eyes focusing power may be hidden, your doctor may use eye drops. The eye drops temporarily keep the eyes from changing focus during testing.
cover - uncover test
- TREATMENT:
- Glasses: If hypermetropia, or long-sightedness, is causing the squint, glasses can usually correct it.
- Eye patch: Worn over the good eye, a patch can get the other eye, the one with the squint, to work better.
- Botulinum toxin injection, or botox: this is injected into a muscle on the surface of the eye. The doctor may recommend this treatment if no underlying cause can be identified and if signs and symptoms appear suddenly. The botox temporarily weakens the injected muscle, and this can help the eyes to align properly.
- Eye drops and eye exercises may help.
- Vision therapy: Your doctor of optometry might prescribe a structured program of visual activities to improve eye coordination and eye focusing. Vision therapy trains the eyes and brain to work together more effectively. These eye exercises can help problems with eye movement, eye focusing and eye teaming and reinforce the eye-brain connection. Treatment can occur in your doctor of optometry's office as well as at home.
- Prism lenses: These special lenses are thicker on one side than the other. The prisms alter the light entering the eye and reduce how much turning the eye must do to view objects. Sometimes the prisms can eliminate the eye turning.
- Surgery: Surgery is only used if other treatments are not effective. It can realign the eyes and restore binocular vision. The surgeon moves the muscle that connects to the eye to a new position. Sometimes both eyes need to be operated on to get the right balance.