চোখে চুলকানি কি?
চোখ চুলকানি (ওকিউলার প্রুরিটাস), একটি খুব সাধারণ সমস্যা, এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি ট্রিগার বা এলার্জেনের প্রতিক্রিয়ার কারণে শরীর হিস্টামিন নামক এক কেমিকাল উন্মোচন করে। এর ফলে চোখের রক্তবাহী নালী প্রসারিত হয় এবং তার কারণে চোখ চুলকায় ও জ্বলে, চোখ জলে ভরে যায় আবার কখনও লাল হয়ে যায়।
📒 চোখে চুলকানির প্রধান সংযুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?
🔲 চোখে চুলকানির সাথে যেসব লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি দেখা যায় তা হলোঃ
➢ চোখের পৃষ্ঠে এবং পৃষ্ঠতলের ঝিল্লিতে প্রদাহ।
➢ সর্দি।
➢ গলা ধরে যাওয়া।
➢ হাঁচি।
➢ চোখের পাতা ফুলে যাওয়া।
➢ চোখ জলে ভরে যাওয়া।
➢ চোখ জ্বালা করা।
➢ চোখ লাল হওয়া।
📒 এর প্রধান কারণগুলি কি?
🔲 চোখে চুলকানি সাধারণত নিম্নলিখিত যেকোনো একটি কারণের জন্য হয়ঃ
➢ অ্যালার্জি (ধুলোর জীবাণু, মোল্ড (এক ধরণের ছত্রাক), চোখের ড্রপ বা পশুর পশম)।
➢ আপনার চোখের চারপাশে ডার্মাটাইটিস।
➢ ড্রাই আই সিনড্রোম - যখন আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণ অশ্রু উৎপাদন করতে পারে না, যা চোখের পৃষ্ঠতলকে আর্দ্র এবং আরামদায়ক রাখতে সাহায্য করে।
➢ কেমিকাল বা বাহির থেকে কোন পদার্থ চোখের ভেতর প্রবেশ করে (মেকআপ বা পুলের ভিতরে থাকা ক্লোরিন)।
➢ ব্লেফারাইটিস - একটি সংক্রমণ যার কারণে চোখের পাতাতে প্রদাহ হয়ে যায়।
➢ কন্ট্যাক্ট লেন্সের কারণে সংক্রমণ।
➢ কোনো এক ড্রাগের প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার কারণে (অ্যান্টিহাইস্টামাইনিকস, পেনকিলার, এন্টিডিপ্রেসেন্টস, বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ)।
🔲 চোখ চুলকানির চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত হল চিহ্নিত কারণগুলির চিকিৎসা, যেগুলির মধ্যে রয়েছেঃ
📒 যদি বাহির থেকে কোন পদার্থ চোখের ভেতর প্রবেশ করে থাকে সেই ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি করা যেতে পারেঃ
✔️ স্যালাইন বা উষ্ণ গরম জলে দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা।
✔️ বন্ধ চোখে আইস প্যাক, পরিষ্কার, ঠাণ্ডা, স্যাঁতস্যাঁতে কাপড়ে চোখের ওপর রাখা।
✔️ ঠান্ডা জল ব্যবহার করে চোখ ধোয়া।
✔️ চোখ রগড়ানো এড়িয়ে চলা এবং যদি 24 ঘণ্টার মধ্যে কোন আরাম না পাওয়া যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
➢ অ্যালার্জির ক্ষেত্রে অ্যান্টিহাইস্টামাইন ওষুধ বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামারেটরী আই ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হবে।
➢ বিশেষ করে চোখের পৃষ্ঠ থেকে অ্যালার্জেন ধোয়ার জন্য ড্রপ, শুষ্ক চোখকে আদ্র (কৃত্রিম জল আনতে সাহায্য করে) রাখতে সাহায্য করে এরকম ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
➢ ঘরের মধ্যে চারপাশে বাটি ভর্তি জল রাখতে হবে, শুষ্ক চোখের চিকিৎসা করার জন্য বায়ুকে যতটা সম্ভব আর্দ্র করে তুলতে হবে যা চোখ চুলকানির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
➢ চোখের সংক্রমণের চিকিৎসা করতে অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ বা মলম ব্যবহার করা হয়।
📒 এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
🔲 আপনার চিকিৎসক আপনার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করবেঃ
➢ চোখের পাতা, কর্নিয়া এবং কনজাংকটিভা।
➢ চোখের গতি।
➢ আলোয় চোখের পিউপিল (চক্ষুতারা) এর প্রতিক্রিয়া।
➢ দৃষ্টি।