চোখের ভিতরের অংশে অবস্থিত স্বচ্ছ জেলির মতো পদার্থকে বলা হয় ভিট্রিয়াস হিউমার বা সংক্ষেপে ভিট্রিয়াস। এটি চোখের আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আলোকে রেটিনার উপর ফোকাস করতে সাহায্য করে। ভিট্রিয়াসের বিভিন্ন রোগ চোখের দৃষ্টিশক্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
COMPOSITION OF VITREOUS
A. Water 99%
B. Inorganic salts
C. Sugar
D. Ascorbic acid
E. Large molecules of hyaluronic
F. Peripheral cells (hyalocytes)
G. A network of collagen fibrils
নিচে ভিট্রিয়াসের কিছু সাধারণ রোগের বিবরণ দেওয়া হলো:
১. ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট (Vitreous Detachment):-
লক্ষণ:
চোখের সামনে কালো বিন্দু বা মাকড়সার জালের মতো ছায়া (ফ্লোটার) দেখা।
আলোর ঝলকানি (ফ্ল্যাশ) দেখা।
কারণ:
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ভিট্রিয়াসের তরল অবস্থা বৃদ্ধি পায় এবং এটি রেটিনা থেকে আলাদা হয়ে যায়।
চিকিৎসা:
সাধারণত এটি বিপজ্জনক নয় এবং কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে রেটিনাল টিয়ার বা ডিটাচমেন্ট হলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।
২. ভিট্রিয়াস হেমারেজ (Vitreous Hemorrhage):-
লক্ষণ:
আকস্মিক বা ধীরে ধীরে দৃষ্টি হারানো।
ফ্লোটার বা রক্তের দাগ দেখা।
কারণ:
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, রেটিনার আঘাত, বা রক্তনালীর ক্ষতি।
চিকিৎসা:
রক্তক্ষরণ কমে গেলে সমস্যা নিজে থেকেই কমে যেতে পারে।
গুরুতর অবস্থায় ভিট্রেকটমি (Vitreous removal surgery) প্রয়োজন।
৩. ভিট্রিয়াস ডিগেনারেশন (Vitreous Degeneration):-
লক্ষণ:
দৃষ্টিতে ঝাপসা বা বিকৃতি।
ফ্লোটার দেখা।
কারণ:
বয়সের কারণে ভিট্রিয়াসের জেলি তরল হয়ে যায় এবং আকৃতি পরিবর্তন করে।
চিকিৎসা:
সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, তবে জটিলতা থাকলে শল্যচিকিৎসা প্রয়োজন।
৪. এন্ডোফথ্যালমাইটিস (Endophthalmitis):-
লক্ষণ:
চোখে তীব্র ব্যথা।
লালচে ভাব এবং দৃষ্টি হারানো।
কারণ:
চোখের আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।
চিকিৎসা:
তাত্ক্ষণিক অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন বা ভিট্রেকটমি।
৫. এস্টেরয়ড ইনডিউসড ভিট্রিয়াস হ্যাজ (Steroid-Induced Vitreous Haze)
লক্ষণ:
দৃষ্টির ঝাপসা।
কারণ:
দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড ব্যবহার।
চিকিৎসা:
স্টেরয়েডের ডোজ হ্রাস বা বন্ধ করা।