উচ্চ রক্তচাপ স্বাস্থ্যের জন্য কী পরিমাণে ভয়ংকর সে সম্পর্কে সবারই ধারণা রয়েছে কিম্তু নিম্ন রক্তচাপও কখনও কখনও ভয়ংকর প্রমানিত হতে পারে। নিম্ন রক্তচাপকে হাইপারটেশন বলা হয়। যদি ব্লাড প্রেশার ৯০ বা ৯০ এর নিচে হয় তবে নিম্ন রক্তচাপ আছে ধারণা করা হয়। ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। (Photo Collected)
নুন জল - নুনে সোডিয়াম আছে যা রক্তচাপকে বাড়িয়ে দেয়। তবে অতিরিক্ত নুন গ্রহণ করা উচিত নয়। এক গ্লাস জলে আর্ধেক চামচ নুন মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ২ গ্লাস নুন জল খান। দেখবেন রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। (Photo Collected)
কফি - দুধ চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি ব্লাড প্রেশার দ্রুত বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকে। ১ থেকে ২ কাপ ব্ল্যাক কফি খান প্রতিদিন। (Photo Collected)
কিশমিশ- নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিশমিশ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। ৩০-৪০ টি কিশমিশ এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি খান। কিশমিশের সাথে কিশমিশ ভেজানো জলটাও খান। এভাবে কয়েক সপ্তাহ কিশমিশ খান। কিছুদিনের মধ্যে প্রেশার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। (Photo Collected)
গাজরের রস-সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গাজরের রস খান। এতে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি দিনে দুইবার খান। এটি ব্লাড প্রেশার বাড়াতে সাহায্য করবে। (Photo Collected)
বাদাম দুধ- ৭-৮ টি কাঠবাদাম সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এটির খোসা ছাড়িয়ে পেস্ট করে নিন। এবার এক গ্লাস দুধে বাদামের পেস্ট মিশিয়ে নিন। গরম গরম পান করুন।
'হাইপো-টেনশন' বা লো ব্লাড প্রেসার তখন হয় যখন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত ঠিকমতো পৌঁছতে পারে না। এর ফলে নানা ধরনের জটিলতা শরীরের মধ্যে তৈরি হয়। [অনিয়মিত রক্তচাপের জেরে কী কী সমস্যা হতে পারে] লো প্রেসারের ফলে শরীরের নানা অঙ্গে রক্ত না পৌঁছতে পারার কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেলিওরের মতো নানা গুরুতর অসুখ হতে পারে। [উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এই সহজ উপায়ে] তবে রক্ত পরীক্ষা, রেডিওলজিক স্টাডিজ ও কার্ডিয়াক টেস্টের মাধ্যমে লো প্রেসারের সমস্যাকে নির্ধারণ করা সম্ভব। আর সেইমতো উপযুক্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যেতে পারে। [উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে এই খাবার] তবে রক্ত পরীক্ষা না করেও লো প্রেসার হয়েছে কিনা বা তা হতে চলেছে কিনা তা বোঝা যেতে পারে। এর নির্দিষ্ট কতকগুলি লক্ষণ রয়েছে। নিচের স্লাইডে জেনে নিন সেগুলি সম্পর্কে। [এই ৭ কারণে হঠাৎ অজ্ঞান হতে পারেন আপনি] মাথা ঘোরা লো প্রেসারের সবচেয়ে কমন লক্ষণ হল মাথা ঘোরানো। যে অবস্থায় আপনি রয়েছেন, তা থেকে অন্য অবস্থায় যাওয়ার সময় অর্থাৎ, অনেকক্ষণ বসা থেকে ওঠার সময় বা হঠাৎ করে বসে পড়ার সময়ে মাথা ঘুরিয়ে ওঠে। মূর্চ্ছা যাওয়া লো প্রেসারের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার ফলে মানুষ হঠাৎ করে মূর্চ্ছা যায় বা জ্ঞান হারাতে পারে। ঝাঁপসা দৃষ্টি শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন না হওয়া, অক্সিজেনের অভাবে নানা অঙ্গ ভালো করে কাজ করে না। তার মধ্যে চোখও পড়ে এবং দৃষ্টি ঝাঁপসা হয়ে ওঠে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন লো প্রেসারে হৃদপিণ্ড সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনুজ্জ্বল ত্বক লো প্রেসার হলে ত্বক উজ্জ্বলতা হারায়। ত্বকের বাইরেও অংশে রক্ত ঠিকমতো সঞ্চালিত হতে না পারার কারণে এটি হয়ে থাকে। শক্ত ঘাড় রক্ত চাপ, হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে ঘাড়ের মাংসপেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানে প্রেসার কমে গেলেই ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। ঘাম রক্তচাপ কম হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুয়িড ঘামের আকারে বেরিয়ে যায়। লো প্রেসারের রোগীদের অত্যধিক ঘাম হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।











